বুধবার সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’

সারাদেশের সব মহাসড়ক ও রেলপথ  কর্মসূচির আওতাভুক্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন। ছবি:সংগৃহীত

সুপ্রভাত ডেস্ক »

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আগামীকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

একদিন বিরতি দিয়ে এবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছেন কোটাবিরোধীরা।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। আমাদের চলমান বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে। রেলপথ ও সড়কপথ এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত থাকবে, সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়, সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা থাকতে পারে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোটা বাতিলের আন্দোলন নয়, বরং বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের আন্দোলন। আমরা স্পষ্ট করতে চাই, আমরা মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করছি না। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের জন্য যেকোনো ধরনের রিওয়ার্ড নিয়ে আমরা কখনো প্রশ্ন তুলিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধার পরিধিকে আরও বিস্তৃত করলে আমরা স্বাগত জানাব।

আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতি, পোষ্য কোটার বিরোধিতা করছি। আমাদের আন্দোলন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে৷ কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা সবাই সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, গণমাধ্যম সবার সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

দুই শিক্ষার্থীর আপিলে তাদের সংশ্লেষ নেই দাবি করে তিনি বলেন, যারা আপিল করেছে তা আমাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়৷ আমাদের মূল দাবিটা মূলত নির্বাহী বিভাগের কাছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথেও সমন্বয় করেছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ে জরিপ ও সর্বসম্মতিক্রমে ৫% কোটা রাখার সিদ্ধান্ত পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র -নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী এই তিনটি শ্রেণি কোটার আওতাভুক্ত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে লিখিত ডকুমেন্ট বা পরিপত্র জারি করে নিশ্চিত করা হয় যে, কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল গ্রেডে যৌক্তিক সংস্কার করা হবে, তাহলে আমরা আনন্দ মিছিল করে রাজপথ ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।