ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে। জাতিসংঘ ৩ মে তারিখটিকে নির্ধারণ করেছে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে হিসেবে।
সারা বিশ্বে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব, সংবাদমাধ্যমের কাজ করার স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের এই স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য সচেতন করার উদ্দেশ্যেই এই বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা তাঁদের পেশাগত অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হল সংবাদ মাধ্যম। মানুষের কাছে সঠিক পক্ষপাতহীন তথ্য উদঘাটন করাই হল সংবাদমাধ্যমের লক্ষ্য। মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে ও সত্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে গণমাধ্যম বহু যুগ ধরে লড়াই করে এসেছে। এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন বহু সাংবাদিক। সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে কাউকে কারাগারে বন্দী হতে হয়েছে, তো কাউকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
প্রতি বছর ৩ মে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ডে হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাস ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ২৬তম অধিবেশনে গৃহীত একটি সুপারিশের পর এই দিনটি ঘোষণা করা হয়।
প্রতি বছর বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবসের একটি করে থিম থাকে। এবছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সকল প্রকার মানবাধিকারের চালিকা শক্তি।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে দেশের মূলধারার সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ দাবি তুলেছে, দেশে স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যেসব আইন প্রক্রিয়াধীন আছে, সেই প্রক্রিয়া এখনই স্থগিত করা। আইনগুলোর মধ্যে যেসব ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ব্যাহত করতে পারে, সেগুলো আইন থেকে বাদ দেয়া।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা আর যদি তা বাতিলে সরকারের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাহলে এমন একটি ধারা যুক্ত করতে হবে। যেখানে বলা থাকবে, এই আইন গণমাধ্যম, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য প্রযোজ্য নয়।
সাংবাদিকতার সুরক্ষার জন্য আইন হতে পারে, যা সংবিধানের চেতনার মধ্যে রয়েছে।
রাজস্ব ঘাটতি, মিথ্যা তথ্যের ব্যাপক প্রসার, ক্রমবর্ধমান আইনি হয়রানি ও নানা প্রতিকূল গ্রোতের মধ্যেই আবর্তিত আজকের গণমাধ্যম। এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সারা বিশ্বে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায়, আর সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং নজরদারিও ঠেকেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছে গোটা বিশ্ব।
এ মুহূর্তের সংবাদ