সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
জোরের ওপর ইয়র্ক লেংথে একের পর এক ডেলিভারি। অসাধারণ স্কিল আর স্নায়ুর চাপকে জয় করা দুর্দান্ত বোলিং। রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে দলকে জেতানোর পর মেহেদি হাসান বলছেন, বিশ্বাস ছিল তিনি পারবেন।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে রুদ্ধশ্বাস উদ্বোধনী ম্যাচটিতে ফেভারিট বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। শেষ দুই ওভারে ম্যাচের ভাগ্য দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। খবর বিডিনিউজের।
জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন ছিল ২ ওভারে ৩০ রান। ফরহাদ রেজার করা ১৯তম ওভারে মুক্তার আলির ৩ ছক্কায় রান আসে ২১। শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণে রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিংয়ে আনেন মেহেদিকে। স্ট্রাইকে সেই মুক্তার। কুইক আর্ম অ্যাকশনে একের পর এক জোরের ওপর ইয়র্ক লেংথ বল করতে থাকেন মেহেদি। প্রথম তিন বলেই রান নেই! চতুর্থ বলটি লো ফুল টস, এবার ফ্লিক করে চার মারেন মুক্তার।
পরের বলেও রান আসেনি ব্যাট থেকে, তবে অনেকবার টিভি রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার দেন ‘নো বল।’ সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকল অবশ্য যথেষ্টই। এরপর ফ্রি হিট, এবারও মেহেদির নিখুঁত ইয়র্ক লেংথের বলে রান নিতে পারেননি মুক্তার। শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ৪ রান, মেহেদি দেন কেবল ১।
ম্যাচের পর মেহেদি বললেন, নিজের আত্মবিশ্বাস ও সতীর্থদের আস্থাই তাকে উদ্ধুদ্ধ করেছে।
‘প্রথমত, আমার অনেক বিশ্বাস ছিল। দ্বিতীয়ত, অধিনায়কের অনেক বিশ্বাস ছিল। সে আস্থা রেখে আমাকে বোলিং দিয়েছে। দলের অন্যরাও সবাই আমাকে বিশ্বাস করছিল। বিশ্বাসের জন্যই আমি যেটা করতে চেয়েছিলাম, সেটা হয়ে গেছে। ডেলিভারিগুলো পারফেক্ট ইয়র্কার হয়েছে। সফল হতে পেরেছি।’
মেহেদি শুধু শেষের নায়কই নন, ম্যাচেরও নায়ক। ম্যাচের প্রথম ভাগে দলের বিপর্যয়ে নেমে ব্যাট হাতে খেলেছেন ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস। তারপর অমন বোলিং। ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত।
‘সবসময়ই ম্যান অব দা ম্যাচ হলে অসাধারণ লাগে। আমার ক্ষেত্রেও একই। ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই দলে অবদান রাখতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
খেলা