সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
সাধারণত এমন জিনিস সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শেয়ার করেন না। তবে সম্প্রতি যে সম্মানটা তিনি পেলেন সেটা অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারলেন না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার মার্কাস রাশফোর্ড। করোনার জেরে দীর্ঘ লকডাউনের মাঝে চ্যারিটির জন্য ‘হাই শেরিফ অফ গ্রেট ম্যাঞ্চেস্টারে’র বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করলেন ইংরেজ স্ট্রাইকার।
যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় চ্যারিটি এবং কমিউনিটি গ্রুপ ‘ফেয়ার শেয়ারে’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে লকডাউনের মাঝে দুঃস্থ মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন রাশফোর্ড। লকডাউনের মাঝে খাবারের অপচয় রুখতে এবং মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। তহবিল গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ শিশুর মুখে খাবার তুলে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। ‘ফেয়ার শেয়ারে’র হয়ে তহবিলে অর্থ সংগ্রহ এবং তারপর শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন ম্যান ইউ’য়ের তারকা স্ট্রাইকার।
জানা গিয়েছে সংগঠনটিকে প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থসাহায্য করেছেন বছর বাইশের তারকা ফুটবলার। আর এই কাজের জন্য হাই শেরিফের বিশেষ স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাশফোর্ড লেখেন, ‘সাধারণত এমন জিনিস আমি শেয়ার করি না। কিন্তু এই সম্মান শুধু আমার প্রাপ্য নয়। এটা তোমাদের সবার প্রাপ্য, যারা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তহবিলে দান করেছো। তোমরা সবাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছো।’
তিনি আরও লেখেন, ‘লকডাউনের মাঝে প্রতি সপ্তাহে ২.৮ মিলিয়ন শিশু খাবার পেয়েছে তোমাদের জন্যই। আমার শহর আমায় স্বীকৃতি দিয়েছে এটা দারুণ ব্যাপার। এতদিন ভেবে এসেছি কখনও যদি সাহায্য করার মতো পরিস্থিতি হয় এবং আমি যদি ততোাই সামর্থ্য হই তাহলে সার্বাগ্রে এগিয়ে যাব। আর আজ আমি সেটা করতে পেরে গর্বিত। আমরা যা করেছি তার জন্য গর্বিত। ধন্যবাদ সকলকে, তোমরা সকলেই সুপারস্টার।’
একইসঙ্গে ফাই শেরিফ অফ গ্রেট ম্যাঞ্চেস্টারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাশফোর্ড জানান যতদিন না শিশুদের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত হচ্ছে ততদিন এমন কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। পাশাপাশি তহবিলে অর্থসাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য ক্লাবের সতীর্থ এবং অনুরাগীদেরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইংরেজ স্ট্রাইকার।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা