বিমানবন্দরমুখী সড়ক বেহাল কেন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে এখনও বিমানবন্দরমুখী অধিকাংশ গাড়ি চলে নিচের সড়ক দিয়ে। কিন্তু দুঃখজনক হল দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন সড়কটি গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
বিমানবন্দর সড়কের ইপিজেড এলাকায় প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার অংশে কোনো পিচঢালাইয়ের অস্তিত্ব নেই; বরং চার লেনের সড়কের উভয় পাশে এক থেকে দেড় লেন কাদায় ভরা। এরপর যে অংশ রয়েছে তার বেশির ভাগ ভাঙাচোরা। গত তিন দিন তেমন বৃষ্টি না হলেও ভাঙা সড়কের বেশির ভাগ অংশে পানি জমে আছে। আবার কোথাও পানি সরে গিয়ে স্পষ্ট হয়েছে খানাখন্দ। এর মধ্যে সতর্ক হয়ে চালকদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গাড়ির গতি কমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

রাস্তার এমন অবস্থার কারণে আশপাশের দোকানি ও বাসিন্দারাও পড়েছেন বিপাকে। তাঁদের চলাচলে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনি দোকানের বিক্রিও কমেছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে মানুষও চলাচল করতে পারছেন না। ক্রেতা আসবে কোথা থেকে। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন কিছুই বিক্রি হয় না।
এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্ষার আগে থেকে রাস্তা খারাপ ছিল। তবে বর্ষা শুরুর পর খুব ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। মাঝখানে ইট–বালু দিয়ে একবার ঠিক করেছিল। বৃষ্টির পর তা ধুয়েমুছে গেছে। এখন রাস্তার কারণে মানুষ ও গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ এমন বেহাল সড়ক শুধু দুর্ভোগের নয়, নগরের জন্য লজ্জারও বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকায় একটি ব্যবসায়িক কাজে যেতে গত সপ্তাহে এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন; কিন্তু সড়কের যে অবস্থা, তাতে গাড়িই চালানো যাচ্ছিল না। শুধু তা–ই নয়, কিছুদিন আগে বিদেশি বিনিয়োগকারী চট্টগ্রামে এসেছিলেন। বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে আসার পর রাস্তার খারাপ অবস্থা নিয়ে তাঁদের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আমদানি–রপ্তানি ও বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দ্রুত ঠিক না করে সিটি করপোরেশন এভাবে ফেলে রাখল কেন, তো বোধগম্য নয়।
এ প্রশ্নটি নগরবাসীরও বটে। সিডিএ ও চসিকের পরস্পরের টাগ অব ওয়ারে পড়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। আসলে আমরাও জানি না, এ জট খুলবে কবে!