সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিপিএলের আসন্ন মৌসুমকে ঘিরে বাড়তি আয়োজন নিচ্ছে বিসিবি। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসের পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনায় আয়োজন করা হবে। সেই সাথে দুর্নীতিবিরোধী দলও থাকবে সদা প্রস্তুত। আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বিপিএলের পরবর্তী আসর। থাকবে ৭টি দল। কিছুদিন আগে দ্য টেলিগ্রাফ এর এক প্রতিবেদনে বিপিএলের সর্বশেষ দুই আসরে ৩০টিরও বেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে। তবে আসন্ন মৌসুমে এমন ঘটনার বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক এবং নামী দেশি কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বিপিএলে দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে ফাহিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা (দুর্নীতির অভিযোগ) আমাদের চোখে পড়েছে। খেলাকে সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতামূলক করতে গেলে, ফেয়ার করতে গেলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা খুব জরুরি। আমাদের যে দুর্নীতিবিরোধী যে টিমটা আছে তারা কিন্তু এবার সক্রিয় থাকবে। আমরা দুর্নীতিবিরোধী যেসব প্রোগ্রাম করা প্রয়োজন, প্লেয়ার, ম্যানেজমেন্টসহ সবাইকে সচেতন করার ব্যাপারে সেগুলো আমরা করব। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন এসব ঘটনা না ঘটে। যদি ঘটে, আমরা বোধ হয় এবার রিয়েক্ট করব। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ বিশৃঙ্খল একটা অবস্থা থেকে আমার মনে হয় না খুব বেশি ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। আমার মনে হয় বিপিএল কর্তৃপক্ষ এটাকে খুব শক্তভাবে দেখবে।’
আগে যা কিছুই হোক না কেন এবার সবকিছু শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন ফাহিম। তার মতে, ‘আমাদের কাছে সেরকম অভিযোগ আসেনি। যদি আসত তাহলে আগের বোর্ডই হয়ত সেগুলো নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হত। সেরকম কনক্রিট কোনো কিছু তো আসেনি। তবে আমরা যে এটাকে খুব শক্তভাবে দেখব এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। সে কারণেই আমরা অনেক প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করব যাতে সবাই জানে যে কী করলে কী হবে। প্লেয়াররা যেন সচেতন থাকে। আমি নিশ্চিত যে বেশিরভাগ প্লেয়ার এই ব্যাপারে সচেতন আছে। তারা তাদের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেই ক্রিকেট খেলে। বিচ্ছিন্নভাবে ২-১ জন আছে যারা নেতিবাচক কাজে জড়িত হয়। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণ করব। কোথাও কোনো কিছু পেলে আমরা অবশ্যই রিয়েক্ট করব।’ সূত্র-বিডিক্রিকটাইম