সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
আগামী ২১ জানুয়ারি শুরু হবে দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ বিপিএল। ইতোমধ্যে ক্রিকেটারদের ক্যাটাগরিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে হবে এর প্লেয়ার্স ড্রাফট। যা সরাসরি দেখাবে গাজী টেলিভিশন ও টি-স্পোর্টস।
গতকাল রবিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ড্রাফটের সময় ও বিপিএলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিপিএল আয়োজনের চেষ্টা করছি। এভাবেই আমাদের প্রোগ্রাম করা হয়েছে। কাল (সোমবার) এই ইভেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফট ঢাকার একটি হোটেলে হবে। বেলা ১২টার সময় তা শুরু হবে।’
৬ দল নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিপিএল। দলগুলো ড্রাফটের আগে একজন দেশি খেলোয়াড়কে সরাসরি নিতে পারবে। প্রতিটি দলকে কমপক্ষে ১০ জন স্থানীয় খেলোয়াড় নিতে হবে। সর্বোচ্চ নেওয়া যাবে ১৪ জন। তাদের সরাসরি চুক্তির বাইরে, ড্রাফট থেকে নিতে হবে। এছাড়া ড্রাফটের আগে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় দলে নেওয়া যাবে। দলে সর্বনিম্ন ৩ জন এবং সর্বোচ্চ ৮ জন বিদেশি খেলোয়াড় নেওয়া যাবে। ড্রাফটের আগে কোন দল কোন ক্রিকেটারকে নিয়েছে এখনও সেটি বিপিএল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানায়নি। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমি নামগুলো বলতে পারছি না। কারণ এখনও সময় রয়েছে। আজকের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কাদের রিটেইন করেছে এবং কারা ড্রাফটে থাকবে, এই বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে।’
পাকিস্তান সিরিজের মতো বিপিএলে মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই এবারের আসরের সম্প্রচার স্বত্ব দেওয়া আছে। ২০২২ সালের আসরের খেলাগুলো দুটা চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে। দর্শক থাকার ব্যাপারে এখনও আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পঞ্চাশ ভাগ এটা তো থাকবেই, হয়তো এর চেয়েও বাড়তে পারে।’
এবারের বিপিএলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের তিন ভেন্যুতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। থাকছে না কোনও আইকন ক্রিকেটার। ‘এ’ থেকে ’ই’ ক্যাটাগরি পর্যন্ত দেশি ও বিদেশি প্লেয়ারদের গ্রেডিং করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রেডে দেশিরা ৭০ লাখ আর বিদেশিরা ৭০ হাজার মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাবেন। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন দল ১ কোটি ও রানার্সআপ ৫০ লাখ টাকা প্রাইজমানি পাবে।