বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসেস মায়িয়ে মাসভুপুই বলেন, চট্টগ্রামের বিনিয়োগ সম্ভাব্যতার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের সরকার মূল্যায়ন করে। চট্টগ্রাম যেহেতু আন্তর্জাতিক, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন সংযুক্তি সেহেতু পর্যটন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ আইটি খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগে একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলে ফ্রান্স অবশ্যই সাড়া দেবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চসিক নগর ভবনে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো প্রস্তাব আকারে দিলে তা আমাদের সরকারের নিকট পৌঁছে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা থাকবে।
এ সময় মেয়র রেজাউল করিম ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলো আমাদের পাশে ছিল। তারা আমাদের সমর্থন ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের চলমান টেকসই উন্নয়ন কর্মকা-ে তাদের বহুমাত্রিক সহায়তা আন্তঃদেশীয় বন্ধুত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করেছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এবং প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের প্রবেশদ্বার। বৃহত্তর চট্টগ্রামে একই সাথে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে, ফলে চট্টগ্রাম বহুমাত্রিক বিদেশি বিনিয়োগের উর্বর ভূমি হিসেবে এখন বিশ্বে সমাদৃত।
তিনি সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্রান্সের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ফ্রান্সের মত দেশের উন্নত প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত হওয়া গেলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তাই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।
মেয়র আরো বলেন, অলিয়ঁস ফ্রঁসেস ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুটি কেন্দ্র থেকে সাহিত্য ও সং¯ৃ‹তির ক্ষেত্রে যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। তাই আমাদের দুই দেশের সাহিত্য সংস্কৃতির ভাবনা চিন্তার আদান প্রদানে অলিয়ঁস ফ্রঁসেস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা হিসেবে বিবেচ্য।
বাংলাদেশের অবকাঠামো, শিল্পাঞ্চল, জ্বালানি ও সামুদ্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে ফরাসী বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা এই শিল্পাঞ্চল জোনে বিনিয়োগ করছেন। মেয়র সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে এমিউসমেন পার্ক স্থাপনের কথা উল্লেখ করে এখানে বিনিয়োগের জন্য ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, কাউন্সিলর গাজী শফিউল আজম, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অলিয়ঁস ফ্রঁসেসের পরিচালক ব্রুনো ল্যাকরাম্পী উপপরিচালক ড. গুরুপদ চক্রবর্তী ও ন্যাশনাল ব্রোকার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরমান রাফাই নিজাম। বিজ্ঞপ্তি