সুপ্রভাত ডেস্ক »
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊধর্বগতির মধ্যে সারা দেশে চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ এক ধাক্কায় এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সব অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে।
আগের বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এর সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
এর আগে বিধি-নিষেধের সময়সীমা এক সপ্তাহ করে বাড়ানো হচ্ছিল। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের স্থানীয় সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আবার বেড়ে যাওয়ার মধ্যে এবার এক মাস বাড়ানো হল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধি-নিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শর্ত যোগ করে মেয়াদ ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে বলে নতুন শর্তে উল্লেখ রয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়।
সেই বিধি-নিষেধে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।
এখন অফিসের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও অন্য সব শর্ত প্রায় আগের মতোই রয়েছে।
♦ আগের মতোই সব বিনোদন কেন্দ্র, পযটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে।
♦ জনসমাগম ঘটে, এমন সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানও থাকবে বন্ধ।
♦ হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে আসন সংখ্যার অর্ধেক ভোক্তাকে খাবার পরিবেশন করা যাবে। অনলাইনে আগের মতোই বিক্রি করা যাবে খাবার।
♦ গণপরিবহনও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে। সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর পর আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২৩ মের পর অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন বা লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহামারীর শুরতে গত বছর থেকেই বন্ধ রয়েছে। তা জুন মাসে আর খুলছে না বলে আগেই জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সীমান্ত জেলাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় ‘লকডাউন’ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উচ্চ ঝুঁকির জেলাগুলোর স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।