লালগালিচার লম্বা র্যাম্প বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মডেলদের ‘ক্যাটওয়াক’ দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন দর্শকেরা। মডেল এলেন বটে, তবে দু পায়ে নয়, চার পায়ে, হেলেদুলে এবং লেজ নাড়িয়ে। ক্যাটওয়াক করলো সত্যি সত্যি বিড়ালেরা। এমন ক্যাটওয়াক দেখে আনন্দিত দর্শকেরাও।
বিভিন্ন ফ্যাশন-শো তে হেলেদুলে হাঁটার স্টাইলকেই ক্যাটওয়াক বলে। এটি ফ্যাশন-শোতে হাঁটার ধরন কিংবা হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট র্যাম্প বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়।
গত বুধবার বিকেলে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমী এই বিড়াল প্রদর্শনী ও র্যাম্প শো। ফেনী অ্যানিমেল লাভারস নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘ক্যাট শো সিজন-২’ নামে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় ৭০টি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের পোষা বিড়াল লালগালিচায় হেঁটে দর্শনার্থীদের বিনোদন জুগিয়েছে।
র্যাম্প শোতে প্রথম হয়েছে ‘স্নোপি’ নামের পারসিয়ান জাতের একটি বিড়াল। দ্বিতীয় বেঙ্গল জাতের ও তৃতীয় হয়েছে দেশি জাতের একটি বিড়াল। এ ছাড়া ‘বেস্ট ক্যাট মাদার’ পুরস্কার পেয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন মর্জিনা আকতার, মনিকা রায়, মঞ্জুরা আক্তার ও তাসলিমা আক্তার।
প্রথম হওয়া স্নোপির মালিক মুমতাহিনা প্রিথা বলেন, ‘প্রায় সাত বছর ধরে আমি বিড়াল পালন করছি। বিড়ালের মিষ্টি স্বভাব ও চঞ্চলতা আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। ওদের ঘরে পেয়ে একধরনের মানসিক শান্তি আর আনন্দ অনুভব করি। এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার মূল কারণ ছিল, আমার বিড়ালের প্রতিভা আর সৌন্দর্যকে সবার সামনে তুলে ধরা। পাশাপাশি এখানে অন্য প্রাণীপ্রেমীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি।’ফেনী প্যাড ক্লিনিকের ভেটেরিনারি চিকিৎসক মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘ব্যতিক্রমী এ আয়োজন প্রাণীপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ ও সচেতনতা বাড়াবে। পোষা প্রাণীর প্রতি যত্নবান হতেও সহায়তা করবে। প্রদর্শনীতে আসা কয়েকটি বিড়ালের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমি অসুস্থ বিড়ালসহ পোষা প্রাণীদের চিকিৎসা দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছি।’
আয়োজনে বিশেষ সাজে এক বিড়াল
প্রদর্শনী উপভোগ করতে ফেনী ও আশপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিড়ালপ্রেমী। প্রদর্শনীতে থাকা বিড়ালগুলোকে কেউ ছুঁয়ে দেখছেন, আবার কেউ কোলে তুলে আদর করছেন। যেমন খুশি তেমন সাজের জন্য কেউবা শখের বিড়ালকে পোশাক পরিয়েছেন। কেউ বিড়ালের মাথা ও কানে ফুল গুঁজে সাজিয়ে দিয়েছেন। বিড়ালের প্রদর্শনী ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিনা মূল্যে বিড়ালের ভেটেরিনারি চিকিৎসা, র্যাফল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ আয়োজন করা হয়।
খুব মজার আয়োজন তাই না? দেখো তোমাদের এলাকায়ও তোমরা এমন আয়োজন করতে পারো কিনা।
ফিচার এলাটিং বেলাটিং