সুপ্রভাত ডেস্ক »
তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এর পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক বসিয়েছে সরকার। সেই দায়িত্ব পেয়েছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার এক আদেশে বলেছে, প্রশাসক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের দায়িত্ব হবে ১২০ দিনের মধ্যে একটি ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে জানানো।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি অন্তরালে চলে যান। তিনি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার অনুপস্থিতিতে পর্ষদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষমতার পালাবদলের পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বেশ কিছু বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক বসিয়েছে সরকার। তার ধারাবাহিকতায় এবার বিজিএমইএতেও প্রশাসক বসল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, বিজিএমইএ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন। সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) পরিচালনা পর্ষদের নিকট পদত্যাগ করেছেন এবং গত ২৪ আগস্ট পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠিত হলেও পরিচালনা পর্ষদ গঠন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ ছিল। সাধারণ সদস্যদের উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিরা সন্তোষজনক জবাব উপস্থাপন করতে পারেননি।
“পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। বর্তমান পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়হীনতার কারণে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭(১) অনুযায়ী ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবাখাতের স্বার্থে সংগঠনটির সার্বিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না মর্মে প্রতীয়মান হয়।”
এ অবস্থায় বিজিএমইএর সকল কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ ও চলমান অস্থিরতা দূর করার লক্ষ্যে আইন অনুযায়ী পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করার কথা বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের আদেশে।