চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিজয় দিবসের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে দৃশ্যমান করা হবে। তিনি শহীদ মিনারকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট এর সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র রেজাউল শহীদ মিনারকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার, বয়স্কদের উপযোগী সিঁড়ি নির্মাণ এবং পথচারীরা যাতে সহজে শহীদ মিনার দেখতে পারেন সে ব্যাপারে কাজ করার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন। সভায় ২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় পুনরায় সভা করার পাশাপাশি প্রতি মাসের ২য় শনিবার সকাল ১১টায় শহীদ মিনার নির্মাণ বিষয়ে সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।
এতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, কবি সাহিত্যিক আবুল মোমেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, ১৪ দলীয় জোট নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, মিটুল দাশ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, গাজী মো. শফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, আব্দুল হালিম দোভাষ, নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল চৌধুরী টিপু, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, মুক্তিযোদ্ধা আবু তৈয়ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ, অঞ্চল চৌধুরী, শারমিন হোসেন, শীলা দাস গুপ্তা, সুচরিত দাস খোকন, শেখ শওকত ইকবাল, প্রদীপ খাস্তগীর, নূর নবী মিলন, মো. আলী টিটু, দেবাশীষ সূত্র, অনন্য বড়ুয়া, অলক মাহমুদ, প্রণব চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান, চন্দন পাল, অসীম বিকাশ, প্রকল্প পরিচালক লুতফুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম খান প্রমুখ।
২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কে সি দে রোডে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের অধীনে আছে, মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আটতলা অডিটরিয়াম ভবন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি উন্মুক্ত গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ, ক্যাফে ও ছোট জাদুঘর। বিজ্ঞপ্তি