সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
শেখ জামাল শিরোপা জেতায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জয়-পরাজয় আর কোনও অর্থ রাখেনি। তবে নিজেদের জায়গা থেকে কাজটা সেরে রেখেছিল মাশরাফি মুর্তজা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী রূপ সামনে এসেছে। রূপগঞ্জের জার্সিতে তা-ব চালিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে সাব্বির রহমানকে নতুন করে আবিষ্কার করা গেছে। তাদের চমৎকার ব্যাটিংয়ের পর চেরাগ জানির ঘূর্ণিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারকে উড়িয়ে দিয়েছে রূপগঞ্জ।
শেখ জামালের সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে খুব ভালো করেই ছিল রূপগঞ্জ। আজ (মঙ্গলবার) শেখ জামাল হেরে গেলেই হতো! তখন রূপগঞ্জ ও শেখ জামালের শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিতো। তবে তা আর হয়নি। শিরোপা জিতে নিয়েছে শেখ জামাল। যদিও রূপগঞ্জ নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রেখেছিল। আজ গাজী গ্রুপকে ১৯৬ রানে হারিয়েছে তারা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে রূপগঞ্জ ২৯৩ রান করে। এরপর চেরাগের ঘূর্ণিতে ৯৭ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রূপগঞ্জ। দুই ওপেনার ইরফান শুক্কুর ও রাকিবুল হাসান ভালো শুরু এনে দেন। দলীয় ৭১ রানে রাকিবুল (৪৭) ফিরে যান। সঙ্গীকে হারিয়ে টিকতে পারেননি ইরফানও (২৯)। তারপর সাব্বির রহমান ও নাঈম ইসলাম মিলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। নাঈম ৬৮ বলে ৪২ রানে আউট হলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন সাব্বির। কিন্তু ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটারকে।
এদিন সাব্বির ও সাকিবের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে বিশাল সংগ্রহ পায় রূপগঞ্জ। ৮৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৯০ রান করেন সাব্বির। অন্যদিকে সাকিব ছিলেন আগ্রাসী। শুরু থেকে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করেছেন। গাজী গ্রুপের বোলারদের রীতিমতো শাসন করে খেলেছেন এক-একটি শট। মাত্র ২১ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তৃতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
গাজী গ্রুপের রাকিবুল আতিক, মিরাজ মাহবুব ও খালেদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসান ও আল আমিন জুনিয়ন নেন একটি করে উইকেট।
২৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চেরাগের ঘূর্ণির মুখে পড়ে গাজী গ্রুপ। ৩৪ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটারকে হারায়। সেখান থেকে হাবিব মেহেদী ও মেহরাব হোসেন দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দুজন মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়ার পর হাবিব আউট হতেই ফের ছন্দপতন। হাবিব ৩২ ও মেহরাব হোসেন ২৭ করে আউট হন। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২৯.২ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ।
প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন রূপগঞ্জের ভারতীয় অলরাউন্ডার চেরাগ। ৭.২ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১৫ রান। এছাড়া আল আমিন ও নাঈম ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। সাকিব ৭ ওভারে ৩১ রান খরচায় পেয়েছেন ১ উইকেট। তবে উইকেটশূন্য ছিলেন মাশরাফি।