নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে দুবাই যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করেছে বলে ওসি আবুল কালাম জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় এনআই অ্যাক্টের ১৪টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় আমজাদ হোসেনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, আমজাদ চৌধুরী অর্থ আত্মসাতসহ ১৫ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট এবং দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং জল, স্থল ও বিমান বন্দরে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মানি লন্ডারিং শাখা থেকে মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী দেশত্যাগের করতে না পারার বিষয়ে সকল বন্দরে চিঠি দেয় দুদক। দুদকের এ নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে দুদকে খবর দেয়।
দুদক জানায়, অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, তার ভাই আমজাদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আসলামের স্ত্রী জামিলা নাজনিল মাওলাকে আসামি করা হয়। এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ঋণটি নেয়া হয় তাদের পারিবারিক ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের নামে। হালিশহরের সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকেও ১৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদক একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় আরেকটি মামলা করে। এ মামলারও চার্জশিটভুক্ত আসামি আমজাদ হোসেন চৌধুরী। এ দু’টিসহ মোট ১৫ মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। কিন্তু এতো দিন তিনি দেশে থাকলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে দেশ ছাড়ার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। তার ভাই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী এ সব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।