সুপ্রভাত ডেস্ক »
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বিএনপি আসবে না, আসবে না বলে নির্বাচনে আসার শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। অথচ আমরা বিএনপি আসবে না ধরে নিয়ে ভোটের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে আছি। আমরা যদি মনে করি, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, সেটা মারাত্মক ভুল হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবেই।
শনিবার সকালে নগরীর যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘ভোট আর সমর্থন আলাদা বিষয়। আমাদের সমর্থন থাকতে পারে, কিন্তু সেটা ব্যালটে আসছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সমর্থনকে ভোটে রূপান্তর করতে হবে। নির্বাচনের আর কয়েকমাস মাত্র বাকি। কিন্তু আমরা বা আমাদের তরুণ সমাজ, এত তরুণ নেতাকর্মী, আমরা ভোটের প্রচারণায় একদম পিছিয়ে আছি। আমরা কি মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি? আমরা কি ফেসবুকে সেভাবে প্রচারণা করছি? দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে ডোর টু ডোর এবং অনলাইন প্রচারণা আমরা সেভাবে করছি না।’
‘অথচ আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ- কত কত তরুণ নেতাকর্মী আছে ! মিছিল-সমাবেশে লোক জড়ো করা, এক কথা। ভোট আরেক বিষয়। বিএনপির সমাবেশে অনেক লোক হয়, এর মধ্যে ভাড়াটিয়া বেশি। বিরিয়ানি কিংবা নাস্তার প্যাকেটের জন্য যায়। এদের অনেককে আবার আওয়ামী লীগের মিটিংয়েও দেখা যায়। সুতরাং এদের আপনি ভোট হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন না।’
নওফেল বলেন, ‘বিএনপি গতবার নির্বাচনের ৫-৬ দিন আগে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিল। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছিল, ইনশল্লাহ পারেনি। একেক আসনে ২-৩ জনকে নমিনেশন দিয়েছিল। গড়ে যদি প্রত্যেকের কাছ থেকে তারেক জিয়া ৩০ লাখ টাকা করে নেয়, তাহলে ২০০ কোটি টাকারও বেশি লন্ডনে নিয়ে গিয়েছিল। অনেকের কাছ থেকে ২-৪ কোটি টাকা পর্যন্ত নিয়েছিল। এমনকি অনেক প্রবাসী বাংলাদেশ হাই কমিশনে পর্যন্ত টাকা নিয়ে গিয়েছিল যে, সেখানে নাকি বিএনপির নমিনেশন বিক্রি হচ্ছে! তারেক জিয়া এবারও নানা কৌশলে গ-গোল লাগাতে চায়, গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চায়। তারপর সে দেশে ফিরবে, অন্যথায় তার দেশে ফেরার কোনো পথ খোলা নেই।’
বিএনপির এবারের কৌশল ভিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গতবার আসি, আসি বলে মাঠ ছেড়ে গিয়েছিল। এবার আসবে না, আসবে না বলে মাঠে এসে যাবে। তারা কিন্তু অলরেডি প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটের প্রস্তুতি তারা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এখন যে তারা নির্বাচনে আসবে না বলছে- এটা তারা আমাদের জন্য একটা ফাঁদ পেতেছি। দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা এখনও ভোটের প্রচারণার প্র্যাকটিসে পিছিয়ে আছি। আমাদের কিন্তু কোনোভাবেই বিএনপির ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ঘরে ঘরে যেতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের তরুণ সমাজ।’ খবর সারাবাংলা।
পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শামসুল আলমকে সভাপতি এবং আশরাফুল আলম সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন।