নিজস্ব প্রতিবেদক »
ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন চমেক আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নুর আহমদ সড়কে অবস্থিত নাসিমন ভবনে উত্তর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) আজিমউল্লাহ বাহার এবং ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরের গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উত্তর জেলার কার্যালয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা ও দুই পৌরসভা বিএনপির প্রতিনিধি সভা আহ্বান করা হয়েছিল। এ সময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার। সভা চলাকালে হঠাৎ হাতাহাতি, মারামারি থেকে এক পর্যায়ে চেয়ার ভাঙচুর এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় গোলাম আকবর খোন্দকার রেগে গিয়ে প্রতিনিধি সভা বন্ধ ঘোষণা করে চলে যান। আজিমউল্লাহ বাহারসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীরাও বেরিয়ে যান।
ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর বলেন, ‘আমার সমর্থক নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। আজিমউল্লাহ বাহার এককভাবে প্রতিনিধি সভার আয়োজন করেছেন। এককভাবে তিনি উপজেলা কমিটি করে ফেলার পাঁয়তারা করেছিলেন। জামায়াতের ক্যাডার শওকত উল্লাহ ও আজিম উল্লাহ বাহার চেয়ার ছুঁড়ে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার দেখা মতে মারামারিতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। হামলায় আহত হয়ে মোহাম্মদ আলম নামে এক নেতা চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছে। চমেক হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, ‘সভায় ৩০ জন তৃণমূলের নেতার প্রতিনিধিত্বে সভার আয়োজন করেছিলাম। সেখানে সরোয়ারের লোকজনকেও দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু গিয়াসউদ্দিন কাদেরের ইন্ধনে প্রতিনিধি সভায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামলার পরিকল্পনা করে। তারা উত্তেজনাপূর্ণ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি গালিগালাজও করে। সভা শুরু হলেই তারা তিন তলায় উঠে হামলা করে দরজা, লোহার গ্রিল ভাঙচুর করে। হামলায় আমাদের পাঁচ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। এসময় কার্যালয়ের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ ছিল। মারামারি কার্যালয়ের ভেতরে হওয়ায় পুলিশ এতে হস্তক্ষেপ করেনি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’