সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ বন্ধ করা হয়েছে বলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি যে বক্তব্য দিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
সংগঠনটি বলেছে, ওই ট্রেন বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী মনগড়া তথ্য পরিবেশন করেছেন। তার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে পরিবহন মালিকদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
তিন দিনের মধ্যে আগের বক্তব্যের স্বপক্ষে গণমাধ্যমে প্রমাণ হাজির করতে না পারলে মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেন পরিবহন নেতারা।
সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, কার্যকরী সভাপতি হাজী আলাউদ্দিন এবং মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী বিশেষ ট্রেনটির চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। যাত্রী চাহিদা থাকলেও ইঞ্জিন ও জনবল সংকটের কথা বলে ট্রেনটি বাতিল করা হয়। এই রুটে ট্রেন বাড়ানোর দাবির বিপরীতে চালু থাকা ট্রেনটিও বন্ধের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় যাত্রী অধিকার সংগঠনগুলো। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের জনপ্রিয় ট্রেন সার্ভিস কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।’
বাস মালিকদের স্বার্থরক্ষায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি ঘিরে আলোচনার-সমালোচনার মধ্যেই ১২ জুন থেকে আবারও স্পেশাল ট্রেন চালুর কথা জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগেরবারের মতো এবারও কেবল ঈদুল-উল আযহাকে উপলক্ষ করেই ট্রেনটি চালু করা হবে বলে জানানো হয়। অর্থাৎ, কিছু দিন চালু থাকার পর আবার এই ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হবে।