বালু উত্তোলনের কারণে ক্ষতির মুখে কর্ণফুলী

কর্ণফুলী নদীকে কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায় তার বুঝি প্রতিযোগিতা চলছে। দখল-দূষণ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, এখন বালু তুলে নদীকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াভাবে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বেচাকেনা। রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বালুমহাল। ড্রেজারুভলগেট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদী ও পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প, নদীর তীরবর্তী সড়ক, বসতি ও কৃষিজমি। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান ও জরিমানা করলেও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড থামছে না। প্রশাসনের দাবি, কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী অংশে কোনো বৈধ বালুমহাল নেই। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তালিকাতেও এ উপজেলায় কোনো অনুমোদিত বালুমহালের নাম নেই। অথচ দুইুতিন দশক ধরে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন ও ব্যবসা। সরকার এ খাত থেকে এক টাকা রাজস্বও পাচ্ছে না। বরং নদী, প্রকল্প ও পরিবেশ পড়ছে ভয়াবহ সংকটে।
প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বালুমহাল। ড্রেজারুভলগেট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদী ও পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প, নদীর তীরবর্তী সড়ক, বসতি ও কৃষিজমি। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান ও জরিমানা করলেও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড থামছে না। কর্ণফুলীর কালুরঘাট, চৌধুরীহাট, ফখিরাখালী ঘাট, চৌধুরী খালের মুখ, খরণদ্বীপুজ্যৈষ্ঠপুরা এলাকায় রয়েছে অন্তত ৩০ু৩৫টি বিক্রয়কেন্দ্র। প্রতিদিন এখান থেকে শত শত ট্রাক ও ট্রাক্টরে বালু পাচার হচ্ছে। শুধু নদী নয়, পাহাড়ি ছড়াগুলোও রেহাই পাচ্ছে না। জ্যৈষ্ঠপুরা ভাণ্ডালজুড়ি খাল ও বিভিন্ন ছড়া থেকে ট্রাক্টরে বালু তুলে বিক্রি করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা সমঝোতার মাধ্যমে এ অবৈধ ব্যবসায় জড়িত।
অবৈধ বালু বাণিজ্যের কারণে কর্ণফুলী নদীর তীর ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্পও পড়ছে ঝুঁকিতে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কঠোরভাবে দমানো না গেলে পরিবেশ এবং প্রকৃতির বিপর্যয় ঠেকানো কঠিন হবে।