নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শিকারপুর এলাকায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কের নাহার গার্ডেনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাসুদ কয়সার ও মোহাম্মদ আনিস। আনিস (৩৮) পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার ওসমান আলী মেম্বারের বাড়ির মৃত মো. ইসহাকের ছেলে এবং মাসুদ (৩২) হাটহাজারী ১৪নং শিকারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কোয়াইশ (বিল্লা বাড়ি) এলাকার মৃত মো. রফিকের ছেলে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা বলেন, নাহার গার্ডেনের সামনে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে দুইজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কী নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
বায়েজিদ থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাটি বায়েজিদ থানা এলাকায় হলেও এরিয়াটি দেখাশুনা করে হাটহাজারী থানাধীন মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি। ঘটনাস্থলে হাটহাজারী ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ অবস্থান করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত ৮টার দিকে অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন মাসুদ ও আনিস। নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনিস। মাসুদকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদ ও আনিস আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তারা হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস গণি চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ‘গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনিস। হাসপাতালে নেওয়ার পর মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ রয়েছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারা ঘটনায় জড়িত, খুঁজে বের করা হবে।’