সংবাদদাতা, বান্দরবান :
দীর্ঘ আড়াই মাস পর বুধবার থেকে বান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্টহাউস গুলো। মঙ্গলবার রাতে জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। করোনা সংক্রমণের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বান্দরবানের সব আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্টহাউস গুলো। তবে খুলে দেয়া হলেও কোন ধরনের বোর্ডার বা অতিথিকে রম্নম ভাড়া দেয়া যাবে না বলেও জানায় প্রশাসন।
জানা যায়, ৩ জুন থেকে বান্দরবানের সব হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসগুলো খোলা রাখতে পারবে তবে কোন গেস্ট বা বোর্ডারকে রুম ভাড়া দেয়া যাবে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেরামতের কাজ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করতে পারবে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জানানো হবে রুম ভাড়া দেয়া যাবে কি যাবে না। তবে এদিকে প্রশাসনের এ নির্দেশনার পরে বুধবার সকাল থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন হোটেল গেস্ট হাউস ঘুরে দেখা গেছে মালিকরা পরিষ্কারের কাজ করছে। হোটেল স্বপ্ন বিলাসের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দুইমাস বন্ধ থাকায় হোটেল অপরিষ্কার হয়ে পড়েছে প্রশাসন অনুমতি দেয়ার পর আজ খুলে পরিষ্কার করছি জীবাণুনাশক স্প্রে করছি। তবে রম্নম ভাড়া দেয়ার অনুমতি এখনো পাইনি। তবুও দীর্ঘদিন পর হোটেল খোলার অনুমতি দেয়ায় কিছুটা স্বস্তি লাগছে।
বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন করোনা সংক্রমনের কারনে দীর্ঘ দিন বান্দরবানের হোটেল মোটেলগুলো বন্ধ ছিল। বান্দরবানে প্রায় ৬০টির বেশি ছোট বড় হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের কারণে গত ১৮ মার্চ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র গুলো বন্ধ ঘোষণা করে পর্যটক ভ্রমণে নিরম্নৎসাহিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, ৩ জুন থেকে আপাতত হোটেল মোটেল খুলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ সময় তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মেরামতের কাজ করতে পারবে তবে কোন গেস্ট বা বোর্ডারকে রুম ভাড়া দিতে পারবে না।
এদিকে পর্যটন কেন্দ্র খোলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে জুলাই মাসের আগে খোলার কোন সম্ভাবনা নেই।