সুপ্রভাত ডেস্ক :
ইসরায়েলে চীনের রাষ্ট্রদূত ডু ওয়েইকে তেলআবিবে তার অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
এই কর্মকর্তা জানান, রাষ্ট্রদূতের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে তারা সন্দেহজনক কিছু দেখছে না।
মাত্র গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েলে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন মিস্টার ডু (৫৭)। এর আগে তিনি ইউক্রেনে চীনের দূত ছিলেন।
তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের একটি ছেলে আছে। কিন্তু তার পরিবার এখনো ইসরায়েলে তার সঙ্গে থাকতে আসেনি।
তেল আবিবের উপকন্ঠ হার্যলিয়াতে তিনি থাকতেন।
ইসরায়েলি পুলিশের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, এধরণের ঘটনায় যেটা সাধারণত করা হয়, সেই নিয়ম অনুযায়ীই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টিভি অজ্ঞাতনামা সূত্র উদ্ধৃত করে বলছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মিস্টার ডু ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন।
গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি যখন মিস্টার ডু ইসরায়েল আসেন, তখন তিনি দু সপ্তাহের জন্য কোয়ারেনটিনে ছিলেন করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের নিয়ম মেনে।
গত মাসে তিনি একটি ইসরায়েলি সংবাদপত্রকে এক সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেন, চীনকে করোনাভাইরাস মহামারির জন্য সারা দুনিয়ার বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেছিলেন,”ইতিহাসে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষের বিরুদ্ধে মহামারি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।”
“এটা খুবই ঘৃণ্য এবং এর নিন্দা করা উচিৎ। এই রোগটি পুরো মানবজাতির শত্রু এবং পুরো বিশ্বকে এর বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়তে হবে।”
গত শুক্রবার ইসরায়েলের চীনা দূতাবাস মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে। মিস্টার পম্পেও ইসরায়েল সফরে এসে করোনাভাইরাসের মহামারি চীন যেভাবে মোকাবেলা করেছে তার সমালোচনা করেছিলেন।
জেরুসালেম পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এক লেখায় চীনা দূতাবাস মিস্টার পম্পেওর মন্তব্যকে ‘আজব’ বলে বর্ণনা করেছিল। চীন এই মহামারি নিয়ে কোন কিছু গোপন করার চেষ্টা করেছে, এমন অভিযোগ চীনা দূতাবাস অস্বীকার করে।