ডলার সংকটে এলসি বা ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সবকিছুই এখন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি স্বাভাবিক করতে না পারলে পণ্যের বাজারদর স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে না।
রমজানে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর, ডালসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই রমজানকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে আমদানিনির্ভর চিনি ও ছোলাসহ কিছু পণ্যের এলসি কম খোলা হয়েছে বলে সরবরাহে বড় সংকট তৈরি হতে চলেছে।
রমজান মাস নিয়ে তৈরি হয়েছে আগাম শংকা। এই শংকা কাজে লাগাতে পারে অসাধু চক্র। রোজার এক সপ্তাহ আগে বাজারে পণ্য সরবরাহ করতে হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এলসি খোলা জরুরি। কারণ এলসি খোলার পরও বিভিন্ন পণ্য দেশে আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলার হার অনেক কমে যাওয়ার ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে আগামী মার্চে শুরু হতে যাওয়া রমজানে ভোগ্যপণ্য আমদানি সহজ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এলসি খোলার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রাণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছে, বিদ্যমান ডলার সংকট ও আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলায় অন্যান্য সমস্যার সুরাহা করা না হলে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে না।
ডলার সংকটে এলসি খোলায় কড়াকড়ির শিথিলতা চেয়েছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।
রমজানে পণ্য আমদানি করতে ডলারের জন্য যে হাহাকার তা সমাধান করতে হবে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাজারে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই।