রেজাউল করিমের উদ্যোগ, উদ্বোধন করলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল#
কোভিড, নন-কোভিড সব রোগীরই চিকিৎসা মিলবে #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীতে করোনা চিকিৎসায় ১০০ শয্যার নতুন একটি আইসোলেশন সেন্টার যাত্রা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর উদ্যোগে এ আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করা হয়। এতে কোভিড, নন-কোভিড দুই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৭ জুন) সকালে নগরীর বাকলিয়ার কালামিয়া বাজার সংলগ্ন ওয়েডিং পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এটির স্থাপন করা ‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার’ এর উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
উদ্বোধন শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে বলেই করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক পার হলেও মৃত্যুর হার কম। যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিকের উপরে মানুষ মারা গেছে। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশে এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। এটা প্রমাণ করে আমরা সচেতন আছি, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা সামাজিকভাবে এগিয়ে আছি।’
রেজাউল করিম চৌধুরীর মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি এখনো রাষ্ট্রীয় কোন দায়িত্বে নেই। তবুও তিনি এগিয়ে এসেছেন। এটা অনেক বড় মানসিকতার পরিচয়। তার কাছে আবেদন থাকবে, তিনি নির্বাচিত হলে যেন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করবেন।’
নওফেল আরো বলেন, ‘সারাদেশের মধ্যে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই প্রথম স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টার করেছেন তিনি। রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হলে অনুরোধ করব, তিনি যেন সেই ধারা অব্যাহত রাখেন।’
এতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তির উদ্যোক্তা ও মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম মিনহাজুর রহমান, কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, শহিদুল আলম শহিদ, এম আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান তুষার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রুমকি সেন গুপ্তা, সাবিনা আক্তার রুজি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
জানা গেছে, ১০০ শয্যার এই আইসোলেশন সেন্টারের ৭০ শয্যা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে। এতে রোগীদের সেবায় থাকবেন ৮ জন ডাক্তার, ১৬ জন নার্স, ৮ জন ওয়ার্ড বয়, ২ জন আয়া ও ৪ জন সিকিউরিটি গার্ড।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী সুপ্রভাতকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের যেকোনো এলাকার রোগীকে এখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এতে কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেন সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। নন-কোভিড রোগীদের জন্য আলাদা একটা হেল্প ডেস্ক আছে। সেখানে নন-কোভিড রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ