ফয়’স লেকের চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার সংসারে জন্ম নেয়া ৩ শাবকের নামকরণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চিড়িয়াখানায় গেলে বাঘ শাবকগুলোকে জনসম্মুখে আনা হয়। এ সময় তিনি শাবক ৩টি কোলে নিয়ে এগুলোর নামকরণ করেন-প্রকৃতি, ¯্রােতস্বিনী ও রূপসী।
জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত সিদ্দিকী, চিড়িয়াখানার সদস্যসচিব ও এনডিসি হুছাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন ও চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শুভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ওই দুটি বাঘ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩টি শাবকসহ মোট বাঘের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে ৫টি বাঘ ও ১২টি বাঘিনী। এখানে সাদা বাঘও রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় দুটি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দিয়ে দুটি জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টে সম্মানার্থে বাঘটির নাম রাখা হয় জো বাইডেন। বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর। বাইডেন জন্মের পরপরই তার মা থেকে পরিত্যক্ত হলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালন-পালন করা হয়। এক বছর লালন করার পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অবস্থিত বাঘ পরিবারের সাথে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হিসাবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো নিজের সংসার করলো। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সাথে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০ একর জমি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলে ছিল, সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে উদ্ধার করে সরকারের দখলে নিয়ে এসেছি। সেখানে আমরা বার্ডস পার্ক করার জন্য পরিকল্পনা করেছি। কিছু আমেরিকার ফ্ল্যামিংগোর ওয়ার্কঅর্ডার দিয়েছি, এর বাইরে কিছু পেলিক্যান ও কিছু ম্যাকাও পাখি পাওয়া গেলে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ডস পার্ক করতে পারবো আশা রাখি। বিজ্ঞপ্তি
