অমল বড়ুয়া »
ভাষার সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা নিহিত রয়েছে তার ধ্বনি-বর্ণ, শব্দ-বাক্য-অর্থের প্রতিটি স্তরে। আর এসবের মধ্যে শব্দই হলো ভাষার প্রাণ। বাংলা ভাষায় প্রায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজারের মত শব্দ রয়েছে। এই শব্দগুলো দেশি-বিদেশি অগণিত শব্দের দ্বারা সমৃদ্ধ। আবার এই শব্দ গঠিত হয়-ধ্বনি দিয়ে। ধ্বনির লিখিত বা চিত্রিতরূপই লিপি। লিপি হলো দৃশ্যরূপ আর ধ্বনি হলো শব্দরূপ। ধ্বনি ক্ষণকালের আর লিপি চিরকালের। আর এই চিরকালের দৃঢ় অস্তিত্বের বাহন হিসেবে লিপিকে খুঁজে নিয়েছে অমরত্ব প্রত্যাশী মননশীল মানুষ। প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ ছবি এঁকে জানান দিতেন নিজের সুদৃঢ় অস্তিত্ব ও সভ্যতার। যাপিতজীবনের চালচিত্র খোদিত হতো পর্বতগুহার গায়ে। নিজেকে প্রকাশ করতেন চিত্র-কল্প উৎপ্রেক্ষায়। আর এই ছবি-চিত্র এঁকে উল্লেখযোগ্য বিষয় ও ঘটনাকে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘আলেখ্য পদ্ধতি’। নানা রঙের দড়ির গুছিতে গিট বেঁধে বিশেষ ঘটনা ও বিষয় নথিভুক্ত করা হত। লিপির উদ্ভবের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিকে ‘কুইপু’ বলে। লিপির উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের প্রথম পর্যায়ে আলেখ্য ও স্মারকচিত্র পদ্ধতির পরিচয় পাওয়া যায়। লিপির গোড়াপত্তনে চিত্রলিপি এবং ভাবলিপি হচ্ছে সম্পূর্ণ ছবি না দিয়ে শুধু রেখাচিত্র করা। আর এই চিত্রলিপি ও ভাবলিপির পরবর্তী স্তর হলো ‘শব্দলিপি’। শব্দলিপির পরিচয় প্রাচীন মিশরীয় চিত্র প্রতীক ও প্রাচীন চীনালিপিতে পাওয়া যায়। শব্দচিত্রের রেখা সংক্ষিপ্ত ও সাংকেতিক হয় এবং শব্দলিপিটি সমগ্র ধ্বনিসমষ্টিকে না-বুঝিয়ে কেবল প্রথম ধ্বনিকে নির্দেশ করে। এই পদ্ধতি হল ‘শীর্ষনির্দেশ’ এবং এর ফলে শব্দলিপি পরিবর্তিত হয় অক্ষরলিপিতে। অক্ষরলিপির পরবর্তী ধাপটি ছিল ‘ধ্বনিলিপি’। গ্রিক বা রোমানলিপির প্রকৃতি ছিল সম্পূর্ণ ধ্বনিমূলক বর্ণমালা। প্রাচীন ও আধুনিক সভ্যজগতের লিপিমালা চারটি প্রাচীন পদ্ধতি থেকে উদ্ভূত- (১) সুমেরীয়-মিশরীয় চিত্রলিপি, (২) ভারতীয় চিত্রলিপি, (৩) চৈনিক চিত্রলিপি এবং (৪) মেসোপটেমীয় বাণমুখ চিত্রলিপি। সুমেরীয় চিত্রলিপি থেকে পরবর্তীকালে ইউরোপীয় বর্ণমালা, আরামীয়, হিব্রু, আরবিসহ বিভিন্ন সেমীয় বর্ণমালার উদ্ভব হয়। মিশরীয় লিপিচিত্রের আদিম রূপ থেকে সংক্ষিপ্ত বা শিষ্টলিপির আবির্ভাব। আর্যদের ভারতবর্ষে আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষে যে সব কোল, ভীল, নাগা, সাওতাল, মালু ইত্যাদি দ্রাবিড় ও মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠী বাস করতো তাদের মধ্যে দ্রাবিড়ীয় বা সৈন্ধবীলিপি ও চৈনিক চিত্রলিপির প্রচলন ছিল।
ভারতীয় চিত্রলিপির প্রকৃতি অংশত ধ্বনিমূলক এবং অংশত অক্ষরমূলক। যেমন- (অ) ধ্বনিমূলক, (ক)- (ক্ অ) অক্ষরমূলক। ভারতবর্ষের প্রাচীনতম লিপি দুটি- (১) খরোষ্ঠী, (২) ব্রাহ্মী। খরোষ্ঠীলিপি সেমীয় লিপি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের ‘শাহবাগচহি’ ও ‘মানসেবা’য় অশোকের দুটি অনুশাসন লিপিতে খরোষ্ঠী লিপির ব্যবহার দেখা যায়। এই দুটি অনুশাসন লিপি ছাড়া অশোকের বাকি সব অনুশাসন লিপিই ব্রাহ্মী বর্ণমালায় উৎকীর্ণ। অনেকের মতে ব্রহ্মার কাছ থেকে প্রাপ্ত বলেই এই লিপির নাম ব্রাহ্মীলিপি। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ থেকে ১০০ অব্দ পর্যন্ত এই ব্রাহ্মীলিপি মোটামুটি অপরিবর্তীত অবস্থায় প্রচলিত ছিল। এরপর ব্রাহ্মীলিপি বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হয়েছে। খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতকে অর্থাৎ অশোকের সময়ে ব্রাহ্মীলিপি স্থানকালের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক ভারতীয় এবং পূর্ব-এশীয় বিবিধ লিপিমালায় পরিণত হয়েছে। ব্রাহ্মীলিপি লিখতে হয় বাম থেকে ডান দিকে এবং খরোষ্ঠীলিপি লিখতে হয় ডান থেকে বাম দিকে। ব্রাহ্মীলিপি থেকে উদ্ভূত কয়েকটি লিপি হলো সিংহলি, তিব্বতি, বর্মি, সিয়ামি, যবদ্বীপী, কোরীয় প্রভৃতি। গুপ্ত শাসনকালে ব্রাহ্মীলিপি ভারতের পূর্বাঞ্চলে যে রূপ পেয়েছিল, তাকে কুটিললিপি বলে। খ্রিস্টপূর্ব ২০০ অব্দে ব্রাহ্মীলিপির দুটি আঞ্চলিক রূপ গড়ে ওঠে উত্তর-ভারতীয় রূপ এবং দক্ষিণ ও বহির্ভারতীয় রূপ। এর দ্বিতীয় রূপটি থেকে পল্লবলিপির উদ্ভব হয়, যা থেকে গ্রন্থি, মালয়ালম, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও সিংহলি লিপির জন্ম। ব্রাহ্মীলিপির উত্তর-ভারতীয় রূপই হল কুষাণলিপি। উত্তরভারতে ব্রাহ্মীলিপি বিবর্তনের প্রাথমিক রূপটি ধরা পড়ে শুঙ্গফলকে, ক্ষত্রপদের লিপি ও মুদ্রায় এবং কুষাণলিপিতে। কুষাণযুগের কয়েকটি বর্ণে ব্রাহ্মীর কৌণিক (অহমঁষধৎ) রূপের পরিবর্তে অক্ষরের বাঁক নেওয়া (ঈঁৎংরাব) রীতি প্রত্যক্ষ করা গেছে; ব্রাহ্মী ‘অ’ বর্ণের বামদিকের কৌণিক রেখা দুটি স্পষ্ট বাঁক নিতে দেখা যায়। আবার ‘ণ’ অক্ষরটির উলম্ব রেখাটির শীর্ষপ্রান্ত ডান ও বামদিকে বাঁক নিতে দেখা যায়। তবে কুষাণযুগে বেশি সংখ্যক ব্রাহ্মী অক্ষরই অপরিবর্তিত থাকে। এই ব্রাহ্মীলিপি খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ শতক থেকে ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ সময় পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। চতুর্থ শতাব্দীতে গুপ্তরাজাদের শাসনকালে কুষাণলিপি বিবর্তিত হয়ে গুপ্তলিপি নাম ধারণ করে। এটি চতুর্থ-পঞ্চম শতকে প্রচলিত ছিল। ষষ্ঠ শতাব্দীতে গুপ্তলিপি থেকে ‘সিদ্ধমাতৃকা’ লিপির জন্ম হয়। সপ্তম শতাব্দীতে এই সিদ্ধমাতৃকালিপি থেকেই কুটিললিপির সৃষ্টি হয়। এই কুটিললিপি অষ্টম শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে পাঁচটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই পাঁচটি শাখার মধ্যে উত্তর পশ্চিম-ভারত শাখা বা শারদালিপি থেকে তিব্বতি, কাশ্মীরি ও গুরুমুখিলিপি; উত্তর ও মধ্যভারত শাখা থেকে দেবনাগরী, কায়থী ও গুজরাটি লিপি; মধ্য এশিয়া শাখা থেকে খোটানি-লিপি এবং যবদ্বীপ-বালিদ্বীপ শাখা থেকে যবদ্বীপীয় কুটিললিপি উদ্ভূত হয়। গুপ্তলিপি থেকে উদ্ভব হয় ‘প্রাচীন নাগরী লিপি’ যার পূর্ব শাখা থেকে দশম শতকের শেষ দিকে বাংলালিপির উৎপত্তি। কম্বোজের রাজা নয়পালের দানপত্রে ও প্রথম মহীপালের বানগড়ের দানপত্রে আদি বাংলালিপির নিদর্শন আছে।
কুটিললিপির পঞ্চম শাখা বা পূর্ব-ভারত শাখার লিপি হল প্রত্ন বাংলালিপি বা গৌড়ীয় লিপি। নবম শতাব্দীতে পাল সাম্রাজ্যের রাজা নারায়ণ পালের তাম্রশাসনে এই লিপির প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায়। দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে এই প্রত্ন বাংলালিপি থেকে নেপালি, ওড়িয়া, মৈথিলি, বঙ্গলিপি এই চার প্রকার লিপির জন্ম হয়েছে। উত্তর-ভারতীয় ব্রাহ্মীলিপি কালক্রমে বিবর্তনের মাধ্যমে দু’টি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে একটি পশ্চিমীধারা, অপরটি পূর্বীধারা। এ পূর্বীধারা থেকেই ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে ব্রাহ্মীলিপি থেকে বঙ্গলিপি বা বাংলালিপির উদ্ভব। বাংলায় ব্রাহ্মীতে উৎকীর্ণ প্রধানত দুটি নিদর্শন পাওয়া গেছে- একটি মহাস্থান লিপি, অপরটি নোয়াখালী জেলায় প্রাপ্ত শিলুয়া মূর্তিলেখ। মূর্তিলেখটি অত্যন্ত ক্ষয়ধরা এবং পাঠোদ্ধারের অনুপযোগী। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত এবং মহাস্থানে প্রাপ্ত কয়েকটি পোড়ামাটির ফলক ও সীলে এবং পশ্চিমবঙ্গের বেড়াচাঁপা ও চন্দ্রকেতুগড়ে প্রাপ্ত কয়েকটি পোড়ামাটির সীল ও মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশে উৎকীর্ণ ব্রাহ্মীলিপি পাওয়া গেছে। তবে মহাস্থান লিপিটি বাংলায় প্রাপ্ত ব্রাহ্মীর প্রাচীনতম নিদর্শন। সম্ভবত মৌর্যযুগের শেষদিকে এ অঞ্চলে ব্রাহ্মীলিপির প্রচলন ঘটে। সেজন্য কেউ কেউ এসব লিপিকে মৌর্যোত্তর ব্রাহ্মীলিপি বলে অভিহিত করেছেন।
খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকে বাংলা বর্ণমালা নিজস্ব রূপ গ্রহণ করে। একাদশ শতকের শেষে বা দ্বাদশ শতকের গোরার দিকে খোদাই করা বিজয় সেনের দেওপাড়া লিপিতে বিভিন্ন বর্ণের আরো বিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া কয়েকটি লিপিতে বাংলালিপির পুরনো নিদর্শন মেলে। যেমন- (ক) লক্ষন সেনের সুন্দর বর্ণলিপি, (খ) বিশ্বরূপ সেনের দানপত্র লিপি, (গ) ১১৯৬ সালের সুন্দর বর্ণলিপি, (ঘ) কালচক্রাবতার (পাণ্ডুলিপি), (ঙ) গুহ্যবলী বিবৃতি (পাণ্ডুলিপি), (চ) পঞ্চাকার (পাণ্ডুলিপি), (ছ) যোগরত্ন মালা (পাণ্ডুলিপি)। দ্বাদশ শতকে বৃহত্তর অঞ্চলে চালু ছিল আদি বাংলালিপি। সেই বৃহত্তর অঞ্চল হচ্ছে পূর্ববঙ্গ, আসাম, ঊড়িষ্যা এবং নেপাল। এসব অঞ্চলে চালু ছিল বেওয়ারী লিপি, যা আদি বাংলালিপি থেকে উৎপন্ন। এরপর খ্রিস্টীয় তের শতক থেকে ঊড়িষ্যা লিপি প্রাচীন বাংলালিপি থেকে পৃথক হয়ে যায়। তৎপরবর্তী ত্রয়োদশ শতক থেকে পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত বাংলালিপি প্রচলিত ছিল।
খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে আসামি লিপি বাংলালিপি থেকে পৃথক হয়ে যায়। মধ্যযুগীয় ভারতের পূর্বাঞ্চলে এবং পাল সাম্রাজ্যে বাংলালিপির ব্যবহার ছিল। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আধুনিক বাংলালিপিকে প্রমিত করেন। ১৭৭৮ সালে ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেডের রচিত অ এৎধসসধৎ ড়ভ ঃযব ইবহমধষ খধহমঁধমব প্রকাশিত হয়। বইটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হলেও এতে বাংলা বর্ণপরিচয় ও বাংলা লেখার নিদর্শন সবই বাংলা মুদ্রাক্ষরে ছাপা হয়। এই মুদ্রণে প্রথমবারের মত ‘বিচল হরফ’ কৌশল ব্যবহার করা হয়। এই কৌশলে প্রতিটি হরফের জন্য আলাদা একটি ব্লক থাকে, যে ব্লকটিকে ইচ্ছামত নড়ানো ও বসানো যায়। জার্মানির ইয়োহানেস গুটেনবের্গ ছিলেন এর উদ্ভাবক। বাংলা মূদ্রণে হ্যালহেডের বইতে চার্লস উইলকিন্স এবং তার সহকারী পঞ্চানন কর্মকার প্রথমবার এই কৌশল প্রয়োগ করেন। ধাতুর ব্লকে ঢালাই করা একই আকৃতি একই হরফের জন্য একাধিক পাতাতে ব্যবহার করা যায় বলে বাংলা ছাপা হরফ একটা স্থায়ী, বৈষম্যহীন রূপ পেয়েছিল। ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হলে উইলিয়াম কেরি, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও পঞ্চানন কর্মকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলা হরফের অবয়বের উন্নতি হতে থাকে। ঊনিশ শতকের তৃতীয় দশকেই বাংলা ছাপা অক্ষরের চেহারা পাল্টে যায়। ১৮৩১ সালে ভিনসেন্ট ফিগিন্স সম্ভবত প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য বাংলা হরফ তৈরি করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে জীবিকা অর্জনের জন্য একটি ছাপাখানা খোলেন। বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের জন্য অনেকগুলো প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উনিশ শতকে ধাতু ঢালাইয়ের মাধ্যমে লেটারফ্রেমে মুদ্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের টাইপ-ফন্ট তৈরি হয়। বিশ শতকে এর সঙ্গে যুক্ত হয় আরো উন্নত মুদ্রণ কৌশল। বাংলা টাইপের ক্ষেত্রে তার স্তরগুলি হচ্ছে যথাক্রমে মনো-টাইপ সেটিং, লাইনো-টাইপ সেটিং, ফটো-টাইপ সেটিং ও কম্পিউটার টাইপ সেটিং। পাশাপাশি বাংলা টাইপ রাইটারের প্রবর্তন ঘটে রেমিংটন ও মুনির অপটিমাসহ বিভিন্ন টাইপ রাইটারের মাধ্যমে। মুদ্রণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এই অগ্রগতির ফলে বাংলা হরফে নানা ধরণের রূপবৈচিত্র্য ঘটে চলেছে। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের যে বাংলালিপি তাই এখন আমরা আধুনিক বাংলালিপি হিসেবে ব্যবহার করছি। মূলত বাংলালিপি হচ্ছে পূর্ব-ভারতীয় ব্রাহ্মীলিপির সুদীর্ঘ আঞ্চলিক বিবর্তন ধারার চূড়ান্তরূপ।