কর্ণফুলীর ইছানগর
সুমন শাহ্, আনোয়ারা:
দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার না করায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মৌলভীবাজার-বাংলাবাজার ঘাট সড়কের অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগানিত্ম পোহাতে হচ্ছে উপজেলার ইছানগর, চরপাথরঘাটা, চরলড়্গ্যা ও শিকলবাহার ইউনিয়নের হাজারো মানুষের। সড়কের মাঝখানে থাকা বড়-বড় গর্তে উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অটোরিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। ঝুঁকি নিয়েই এসব এলাকার মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াত এ সড়ক দিয়ে। ১০ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর চরম ড়্গিপ্ত এলাকাবাসী। সোমবার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে একটি গাড়ি আরেকটিকে অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কটিতে প্রতিদিনে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করতে হয় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। প্রতিদিন ভোগানিত্মর শিকার হচ্ছে উপজেলা ছাড়াও অন্য উপজেলার সাধারণ যাত্রীদের। এছাড়াও গুরম্নত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিড়্গার্থী এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকদের যাতায়াত করতে হয় এ সড়ক দিয়ে। কিন’ বেহাল অবস্থার কারণে এ সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাও এখন দায়। খানাখন্দে ভরা সড়কের ওপর দেয়া পাথরে উল্টে যায় রিকশা, ভ্যানের মতো ছোট যানবাহনও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে ওই সড়ক কার্পেটিং করা হয়। কিন’ বিন হাবিব লিমিডেটসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে সড়কটি আর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যার ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের। দীর্ঘ ১০ বছরেও সংস্কার না করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর বেড়েছে এলাকাবাসীর চরম ড়্গোভ।
যানবাহন চালকরা জানান, খারাপ রাসত্মার কারণে দ্রম্নত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। রাসত্মার কারণে গাড়ির পেছনে যত টাকা খরচ হয়, তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন অংশে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। দ্রম্নত এ সড়ক সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সম্প্রতি রিকশা ও ভ্যান উল্টে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইছানগর ৮ নম্বর ওয়াডের ইউপি মেম্বার আবু তাহের জানান, প্রায় কয়েক বছর ধরে হয়নি কোন সংস্কার। সড়ক দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানার ভারী যানবহন চলাচলের কারণে বড়-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে জমে যায় পানি, সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা। ভোগানিত্মতে পড়ে হাজারো মানুষ আর রাতে বা দিনে শিকার হয় দুর্ঘটনার। তিনি আরো জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা বিভিন্ন দপ্তরের জানিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই সংস্কার কাজ হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারম্নক চৌধুরী বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বলা হয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি নির্দেশে সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই সড়কের সংস্কার কাজ শুরম্ন করা হবে।