সুপ্রভাত ডেস্ক »
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) গতকাল (১০ অক্টোবর) প্রকাশিত তাদের নিউজ বুলেটিনে বলেছে, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছিল, যা কখনও কখনও ৭-৮ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।
আইসিসিবি’র বুলেটিনে বলা হয়, ৪০ বছরেরও কম সময়ে দেশের পোশাক শিল্প সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশের অন্যতম সাফল্যের গাথা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পোশাক রপ্তানি থেকে বছরে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে। দেশের বেশ কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি ১১৯টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে।
বাংলাদেশ চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প, কৃষি পণ্য, সমুদ্রগামী জাহাজ, সফটওয়্যার ইত্যাদি রপ্তানি করে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মোট রপ্তানি আয় ছিল ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং জাতিসংঘের ‘স্বল্পোন্নত দেশের’ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার পথে রয়েছে।
৩০৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং পূর্বাভাস বলছে যে, অদূর ভবিষ্যতে এ অর্থনীতির আকার দ্বিগুণ হতে পারে। জিডিপি বৃদ্ধির পাশাপাশি এখন মাথাপিছু আয়ও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে (২,২২৭ মার্কিন ডলার)। দারিদ্র্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে সাফল্য বিশ্বসেরাদের মধ্যে অন্যতম।
আইসিসিবি বুলেটিনে বলা হয়, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০২০ সালে জিডিপিতে শিল্পের অংশ ছিল ২৮.৭৯ শতাংশ এবং জিডিপিতে এসএমই’র অংশ প্রায় ২৫ শতাংশ।
সূত্র : বাসস