সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার বাড়ছে। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে থাকে ভিপিএন মেন্টর। প্লাটফর্মটির তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসে বাংলাদেশে ভিপিএনের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা আড়াই হাজার শতাংশ ছাড়িয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই মধ্যরাতে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ তারিখ থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে ২৫ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে সরকার। এ সময়েই ভিপিএনের চাহিদা ব্যাপক আকারে বাড়ে।
ভিপিএন মেন্টরের তথ্যানুযায়ী, ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ভিপিএন ব্যবহারের চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৬ শতাংশ। এর পর দেশে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয় গত রোববার (২৮ জুলাই)। এই সময়ে ভিপিএন ব্যবহারকারীর চাহিদা কিছুটা কমলেও তা আড়াই হাজারের বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে ভিপিএন মেন্টর।
এর আগে জুলাইয়ের শুরুতে রাশিয়া সরকারের চাপের মুখে দেশটিতে থাকা অ্যাপ স্টোর থেকে ২৫টি ভিপিএন অ্যাপ সরিয়েছে অ্যাপল। মূলত ইন্টারনেটে বিভিন্ন কনটেন্ট ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
এছাড়াও দেশটি এক্স (টুইটার), ফেসবুক, ইউটিউব থেকে শুরু করে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বর্তমানে বাংলাদেশেও সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়ায় ভিপিএনের ব্যবহার ১৬৭ শতাংশ বেড়েছে। সে সময় এসব পরিষেবার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো ৪ লাখের বেশি নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করেছিল। ফলে দেশটির সরকার ভিপিএন পরিষেবা বন্ধ করলেও জনপ্রিয়তা কমেনি।
চলতি বছরের মার্চে স্পেনে ভিপিএনের চাহিদা ৩৩০ শতাংশ বেড়েছিল। এর পরের সপ্তাহে চাহিদা ১৫০ শতাংশে নেমে এসেছিল। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিপিএন ব্যবহার বৃদ্ধির কারণ ভিন্ন। তবে প্রযুক্তিবিদদের মতে, অবাধ ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়াই এর মূল লক্ষ্য।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিপিএনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের আইপি ঠিকানা গোপন রেখে অন্য দেশের সার্ভার ব্যবহার করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করে থাকে। এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যবহারকারী পরিচয় গোপন রেখে সব ধরণের ব্রাউজিং সুবিধা পেয়ে থাকে।