বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক অংশীদার কানাডা : চেম্বার সভাপতি

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা হাই কমিশনের কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স) অ্যাঞ্জেলা ডার্ক দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সাথে ২৪ অক্টোবর বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, হাই কমিশনের ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন ও চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চেম্বার সভাপতি বলেন, কানাডা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক অংশীদার।  এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কানাডার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরো সাশ্রয়ী করার ক্ষেত্রে উভয়দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে কানাডা চেম্বার অব কমার্সের সাথে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন অবকাঠামো উন্নয়নের মেগা প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করে আগামী দিনে কানাডিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।

মিরসরাই ইকোনমিক জোনে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে উল্লেখ করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস, ট্যাক্স হলিডে-সহ অন্যান্য প্রণোদনা ও তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্য উৎপাদন করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে  সেক্টরভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ২০২২ সালে মাঝামাঝি সময়ে চিটাগাং চেম্বার থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রেরণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়া উভয় দেশে পণ্যের বাজার সৃষ্টির জন্য প্রদর্শনী আয়োজনের প্রস্তাব করেন চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর।

কাউন্সেলর অ্যাঞ্জেলা ডার্ক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দ্রুতবর্ধনশীল। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী। তিনি উভয়দেশের আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধিতে পণ্য বহুমুখী করণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে আগামীতে অনুষ্ঠেয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করে সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করে উভয়দেশ উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন। ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন বলেন,  বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাকের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার ও হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ভিত্তিতে নতুন নতুন পণ্য সংযোজনের মাধ্যমে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় শেষে কাউন্সেলর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞপ্তি