সুপ্রভাত ডেস্ক
বাংলাদেশের কৃষি খাত উন্নত ও আধুনিকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সনাতন ও খোরপোষের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে লাভজনক, সহনশীল ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে। এটিকে ত্বরান্বিত করতে বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও বেশি অনুদান এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে জার্মানির বার্লিনে সিটি কিউবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বিশ্ব ব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এই সভার আয়োজন করে।
গতকাল শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। খবর জাগোনিউজের।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষিতে প্রথম বিপ্লব ঘটে স্বাধীনতার পরপরই। কৃষির উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু। আর দ্বিতীয় বিপ্লব ঘটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ সালে। আর বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৯৯-২০০০ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের কৃষিতে এখন প্রবৃদ্ধি বছরে শতকরা চার ভাগের বেশি। ১৯৭১ সালের তুলনায় এখন চার গুণ বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৮ সালের তুলনায় সাত গুণ বেশি সবজি উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন সবজি, ফলমূল ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের একটি।
উন্নত ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা একটি টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে, কৃষকরা উন্নত জীবন পাবেন। তবে এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হলো জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
তিনি বলেন, দেশের কৃষির উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ও ইফাদের সহযোগিতায় পার্টনার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরও বেশি অনুদান ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।
পরে কৃষিমন্ত্রী জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ক্লদিয়া মুলারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে ক্লদিয়া মুলার বাংলাদেশের কৃষি খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।