বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। অনেকেই এটা হৃদয়ে ধারণ করে না।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবন বিএনপি কার্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্টের সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন ঐক্য ও সম্প্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এদেশকে রঙধনু নেশনে পরিণত করতে চায়। অর্থাৎ একটি রঙধনুতে যেরকম অনেকগুলো রঙ থাকে সে রঙের মধ্যে আমাদের ১৭-১৮টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যারা আছে, বাঙালি যারা আছে সবাই এক একটি রঙ। সব রঙ মিলে কিন্তু রঙধনু অর্থাৎ রেইনবো নেশন বাংলাদেশ।
আমীর খসরু আরও বলেন, যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন- এটার মূল উৎস হচ্ছে যে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। যার যার ভাষা ও ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে, ইতিহাস আছে সেটাকে পালন করবেন। এটার বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের একটি অংশ। এর মধ্যে সব ধর্মের মানুষ আছে। সব ভাষার মানুষ আছে। সবাই মিলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়ার সভাপতিত্বে ও উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়ার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মা ম্যা চিং, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্ম সম্পাদক দিপেন দেওয়ান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাচিং প্রু জেরী, ব্যরিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রেজা। সম্প্রীতি সমাবেশ উদ্বোধন করেন চন্দ্রগুপ্ত বড়–য়া।
প্রধান বক্তা সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন দেশকে গ্রাস করেছে। বর্তমান সময়টা জাতির জন্য সবচেয়ে সংকটময়। এ সময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা অনেক চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য সকল ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সব রাজনৈতিক দল এখন সরকারের পদত্যাগ চাইছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দাবি আদায় করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশসহ বিশ্বে রক্তপাত, সংঘাত ও সংঘর্ষে মানবজাতি ক্ষত-বিক্ষত। এমুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে বিএনপি। তাই দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি আনতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে। আগামীতে আমরা এমন শান্তির সুন্দর বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষ গুম হবে না, খুন হবে না।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, বৌদ্ধ ঐক্যফ্রন্টের নেতা প্রবীন চন্দ্র চাকমা, অনিমেষ চাকমা রিঙ্কু, অংজা প্রু চাকমা, প্রকৌশলী দিপু বড়–য়া, কমল জ্যোতি বড়–য়া, প্রীতম বড়–য়া, সাচিং মারমা, উত্রাসিং মারমা, সুজন বড়–য়া, বরুন বড়–য়া, রুবেল বড়–য়া, মোহন বড়–য়া, সজল বড়–য়া, জুয়েল বড়–য়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি