বিবিসি বাংলা
সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিরা ছাড়া অন্য কেউ এবার হজ পালন করতে পারবেন না। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, দেশটিতে বসবাসরত খুবই সীমিত সংখ্যক মানুষ এবার হজ পালনের সুবিধা পাবেন। প্রতি বছর হজ মৌসুমে আনুমানিক প্রায় কুড়ি লাখ মানুষ হজ পালন করেন।
এর আগে আশংকা করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার হজ বাতিল করতে পারে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মুসলমানদের জন্য হজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদি আরবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের সীমিত সংখ্যক মানুষ নিয়ে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন।
একমাত্র এভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ বলছে। সৌদি আরবে এ পর্যন্ত এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১,৩০৭ জন মানুষ মারা গেছেন। এর আগে সুরক্ষার জন্য মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব।
এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল। একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল। সৌদি আরব মাত্র কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহার করে।
হজ কী?
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সামর্থ্য থাকলে এবং শরীর সুস্থ থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হজ অবশ্য পালনীয়। বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর অনেক মানুষ হজ পালন করতে যান। বাংলাদেশ থেকে ২০২০ সালে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হজে যাওয়ার কোটা এক লাখ ৩৭ হাজার।