দাফনের সময় মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেয়ার প্রতিবাদ
সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ ফটকের সামনের প্রধান সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। ২৭ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ডা. আলী আশরাফের দাফনের সময় বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন তাঁর কফিনে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মানববন্ধন শেষে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বেশ কয়েকটি আল্টিমেটাম দিয়ে আত্মহুতির ঘোষণা দেন।
বক্তাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল মরহুম মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাষ্ট্রীয় অবমাননায় দায়ী কর্মকর্তাদের যথাযথ শাস্তি দেয়া, জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য উপস্থাপন করা।
অপর দিকে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দায়ী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আবুল হাশেম। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ফয়সাল জামিল চৌধুরী ছাকির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (অর্থ) মো. আব্দুর রাজ্জাক, মরহুম মুক্তিযোদ্ধার বড় সন্তান মো. জয়নাল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা সরওয়ার হোসাইন চৌধুরী, আজিমুল ইসলাম ভেদু, জয় হরি সিকদার, আহমদ ছফা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নজরুল ইসলাম, মৃদুল দত্ত, জেনায়েদ, ওয়াহিদুল ইসলাম, মো. মান্নান, কলিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন সিকদার, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রোববার বিকালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফকে দাফনের দিন জানাযা ও দাফন শেষের ৫০ মিনিট পর বাঁশখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এর ফলে এসিল্যান্ডকে অবরুদ্ধ করা হয়। এ ঘটনায় পুরো বাঁশখালীব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, ‘ বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলেই প্রকৃত সত্য উপস্থাপন করা হবে।’