নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী <<
বাঁশখালীর উত্তর জলদী লস্কর পাড়া গ্রামে মা-কে দা দিয়ে কুপিয়ে মাথায় জখম করার পর বাবাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করেছে প্রবাস ফেরত ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় লস্কর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ হামলাকারী মো. এনায়েত উল্লাহ (৪০) কে উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করেছেন।
আহতরা হচ্ছেন বাবা মো. আবুল কাশেম (৮২) এবং মা ছলিমা খাতুন (৫৮)। প্রবাস ফেরত অর্থশালী এনায়েত উল্লাহ মা-বাবাকে হামলার পরও ক্ষান্ত না হয়ে মা-বাবার ঘরে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আহত বাবা মো. আবুল কাশেম বাদি হয়ে ছেলে, ছেলের বঊ রুমা আক্তারসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ‘মো. আবুল কাশেমের ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে। বড় ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মেজ ছেলে সৌদি প্রবাস ফেরত এনায়েত উল্লাহ অর্থশালী হওয়ায় আলাদাভাবে পাকা দালান করে বসবাস করেন। অপর দুই ছেলে মো. মহসীন ও মো. এমদাদ মা-বাবার ভরণপোষণ করেন। এর মধ্যে তিন ভাইদের মধ্যে নানা ধরনের মামলা চলে আসছিল। মেজ ছেলে বিত্তশালী হওয়ায় নানা মামলার চাপে অন্য দুই ছেলে পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। এই নিয়ে মেজ ছেলে এনায়েত উল্লাহ’র সাথে মা-বাবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এনায়েত উল্লাহ তার মা ছলিমা খাতুনকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর লোহার রড দিয়ে বাবার পুরো শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছে।
মামলার বাদি মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘বিত্তশালী ছেলে এনায়েত উল্লাহ তাদের দেখাশোনা করে না। অন্য দুই ছেলে তাদের ভরণপোষণ করে। সম্প্রতি এদেরকে বিভিন্ন মামলার আসামি করে এনায়েত উল্লাহ বাড়ি ছাড়া করেছে। এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে নিজ ছেলের হাতে পিটুনি খেয়ে পঙ্গু হয়ে গেলাম। স্ত্রী ছলিমা খাতুনের মাথায় গুরুতর জখম হয়ে গেছে। থানায় মামলা করেছি।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিউল কবির বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামলাকারী ছেলে এনায়েত উল্লাহকে গ্রেফতার করেছে। বাবা বাদি হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’