আতংক ছড়াতে ৪ রাউন্ড গুলি
সংবাদদাতা, বাঁশখালী
বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল গ্রামের জলিয়া বাপের বাড়িতে শনিবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টায় জায়গা জমির বিরোধে দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র, দা, কিরিচ ও লাঠি ব্যবহার করেছে। ঘটনার সময় এক পড়্গের সন্ত্রাসীরা ৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে দেয়। সংঘর্ষের পর থানা পুলিশ ঘটনাস’লে গিয়ে পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার তানজিলা আফরিন তাদের মধ্যে দুই পড়্গের ছয়জনকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
চমেকে গুরম্নতর আহতরা হচ্ছেন শহীদুল ইসলাম (৩৮), সায়েম কবির চৌধুরী (৩৫), আতিকুর রহমান (৩৪), জসিম উদ্দিন (৫৫), হেফাজুল ইসলাম চৌধুরী (৪২) এবং নেজাম উদ্দিন চৌধুরী (৩৩)। অন্যান্য আহতরা বাঁশখালী উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসাধীন আছে। আহতরা প্রত্যেকে কিরিচের কোপে রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
জানা গেছে, পশ্চিম চাম্বলে ৩২০ শতক জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শহীদুল ইসলাম ও কাশেম বাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে থানায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার উভয় পড়্গে বৈঠকও হয়। উভয়ে নিজেদের জায়গা দাবি করে করে আসছিল। শনিবার সকালে শহীদুল ইসলাম বাহিনী জমিতে চাষাবাদের কাজ চালানোর সময় কাশেম বাহিনীর সশস্ত্র লোকজন উপসি’ত হয়ে ৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে কিরিচ, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলা উভয় পড়্গে ছড়িয়ে পড়লে দুই পড়্গে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে শহীদুল ইসলাম বাহিনীর ৮ জন আহত হয় এবং কাশেম বাহিনীর ৪ জন আহত হয়। দুই পড়্গে মামলা প্রস’তি চলছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন,‘দীর্ঘদিনের জায়গার বিরোধ নিয়ে দুই পড়্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ উপসি’ত হয়ে পরিসি’তি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’