নিজস্ব প্রতিনিধি (বাঁশখালী) »
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে রবিবার ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ছুরিকাঘাতে সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. সরোয়ার আলম শেখ (৫১) ও সিকিউরিটি গার্ড রাশেদ জোয়ারদার (২৫) খুন হয়েছেন।
পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত মো. সরোয়ার আলম শেখ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালসা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে এবং রাশেদ জোয়ারদার রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সানখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জোয়ারদারের ছেলে।
নিহত সারওয়ার আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) হিসেবে গত ১৮ জুলাই যোগদান করেন।
পুলিশ আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রবিবার মধ্যরাতে চোরেরদল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সীমানাপ্রাচীরের নিচের অংশ দিয়ে গর্ত খুড়ে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঢুকে। চুরির কাজে বাধা দিতে গেলে প্রথমে সিকিউরিটিগার্ড রাশেদ ছুরিকাঘাতে মারাত্বকভাবে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গাড়ী নিয়ে সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. সরোয়ার আলম টহল দিতে গিয়ে ওই দৃশ্য দেখে চোরদলকে ধাওয়া করতে গিয়ে আক্রান্ত হন। তিনিও গলায়, বুকে, ফুসফুসে এবং হাতে মারাত্বকভাবে আহত হন। পরে চোরেরদল সীমানা প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান।
মারাত্বকভাবে আহত দুইজনকে সেখান থেকে প্রায় ঘন্টা খানেকের দূরত্বের বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পথেই মারা যান। বাঁশখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মুমিনুল হক বলেন রাত আড়াইটার সময় সরোয়ার আলম ও রাশেদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে ওরা মারা গিয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘চোরেরা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা ধরে ফেলতে চেষ্টা করেন। সে কারণে তাঁদের ছুরিকাঘাত করে চোরেরা দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে আমরা জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’
নিহত রাশেদ জোয়ার্দার ও সারওয়ার আলম শেখ