সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
বলে থুথু পালিশে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় খুশি নন শচীন টেন্ডুলকার। তার মতে, বিকল্প পথ এখনই খোঁজা উচিত। না হলে ব্যাট-বলের ভারসাম্য হারিয়ে যাবে। শচীন বলেছেন, ‘কয়েকজন বোলার বন্ধু বলছিল, এবার থেকে পিচের দুদিকে বোলিং মেশিন থাকবে। ম্যাচের সময় মেশিন থেকে বেরোনো ডেলিভারিই খেলবে ব্যাটসম্যানরা। এভাবেই নাকি খেলা হবে!’
এরপরেই শচীনের প্রশ্ন, ‘থুথু পালিশ না থাকলে মাঝের ওভারগুলোয় সুইং হবে কী করে? আবহাওয়ার জন্য কিছু দেশে ক্রিকেটাররা ঘামে না। তাহলে সেখানে কী দিয়ে পালিশ করা হবে?’
শচীনের বক্তব্য, ‘মোম লাগানো যায়। কতটা লাগানো যাবে আইসিসি ঠিক করুক। ৪৫-৫০ ওভারের পর বল বদলানো যায় কিনা ভাবুক। বিকল্প রাস্তা ভাবতেই হবে। উইকেট বোলার-সহায়ক হোক। না হলে ৪৫-৫০ ওভারে পরিবর্তন করা হোক। এই সিদ্ধান্ত নেবে বোলিং দলই। তারা নতুন বল নিতে পারে বা পুরনো বলও রাখতে। অথবা দুটোই ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে এক প্রান্ত থেকে নতুন বল, আরেক প্রান্তে পুরনো বল ব্যবহার করা যাবে। কারণ স্পিনাররা নতুন বলে সুবিধা পায়। আর পেসাররা পুরনো বলে। এতে খেলাটা একঘেয়ে হয়ে যাবে না।’
শচীনের মতে, অন্তত কিছু সংখ্যক হলেও দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত। তার কথায়, ‘খেলোয়াড়রা দর্শকদের গর্জনেই আত্মবিশ্বাস পায়। ২৫ শতাংশ হলেও দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত।’
চলতি বছরের শেষদিকে টি-২০ বিশ্বকাপের জায়গায় হতে পারে আইপিএল। শচীনের মতে, মানুষ যদি ঠিকঠাক নিয়ম মেনে চলে তাহলেই এই প্রতিযোগিতা হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি টি-২০ বিশ্বকাপের সম্ভাবনা নিয়ে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ওরা আয়োজন করতে পারবে কিনা।’
খবর : ঢাকাটাইমস’র।
খেলা