সুপ্রভাত ডেস্ক :
ছিল না কোনও ডিজাইনার। স্বল্প দামের পোশাক পরেই বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েটি বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চে মন জয় করে নিয়েছিলেন বিচারকদের। খ্যাতনামা মডেল হওয়ার পর তাই বলিউড থেকে ডাক পেতেও দেরি হয়নি। তিনি সুস্মিতা সেন। একটা সময়ে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং সুস্মিতা সেনের মধ্যে কে কতটা সুন্দরী, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল গোটা বলিউড! উল্লেখ্য সুস্মিতা সেনও কিন্তু ‘বহিরাগত’দের মধ্যে একজন। সেই বিশ্বসুন্দরী বঙ্গললনাকেই কিনা বলিউডে স্বজনপোষন অর্থাৎ নেপোটিজম বাণে বিদ্ধ হতে হয়েছিল! অবিশ্বাস্য!
নেপোটিজম প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। সুস্মিতার কথায়, ‘বহিরাগতদের সুযোগ দেওয়া নিয়ে যে লড়াইটা শুরু হয়েছে, তা কিন্তু মোটেই নতুন নয়! এখন হয়তো সংবাদমাধ্যমের দৌলতে এটা নিয়ে এত হাঁকাহাঁকি, কিন্তু নেপোটিজম বিষয়টি দীর্ঘদিন আগে থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে চলে আসছে। আর তাই আমি বলব, এই স্বজনপোষণ বিষয়টিকে যদি গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হয়, তাহলে সবাইকে একজোট হয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
সম্প্রতি, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডে নেপোটিজম বিষয়টি ফের আলোচনার শিরোনামে। অনেকেই সরব হয়েছেন। শুধু সিনে দুনিয়াতেই নয়, এমনকী মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মাফিয়াদের নিয়েও মুখ খুলেছেন সোনু নিগম, আদনান শামি, মোনালি ঠাকুরের মতো খ্যাতনামা গাইয়েরা। এবার সেই প্রশ্নই সুস্মিতা সেনের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন এক অনুরাগী, ‘আপনাকেও কি নেপোটিজমের শিকার হতে হয়েছিল?’ সেই প্রশ্নের ভিত্তিতেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
‘আপনাদের মতো দর্শকদের জন্যই লড়াই করার শক্তি পেয়েছি। আপনারা যতদিন আমায় দেখতে চাইবেন, ততদিন কাজ চালিয়ে যাব’, বিচলিত না হয়েই অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
তবে ক্যারিয়ারে হিট, সুপারহিটের সংখ্যা গুণতে কিন্তু মোটেই রাজি নন অভিনেত্রী। সুস্মিতার কথায়, তার ছবিগুলি যখন সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছি, সেগুলি বক্স অফিসে মোটেই সেরকম ছাপ ফেলতে পারেনি। কিন্তু পরে সেই ছবিগুলিই যখন টেলিভিশনে এসেছে, দর্শক দেখেছে। তার কথায়, আমি নিজে কিন্তু ব্যর্থ হইনি। ব্যর্থ হয়েছে আমার প্রচেষ্টাগুলো। মানুষ এই তফাৎটা বুঝতেই ভুল করে।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
বিনোদন