সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশের ১২টি জেলায় চলমান বন্যায় প্রাণিসম্পদ – পোল্ট্রি, পশুখাদ্য, মাছ এবং অবকাঠামোর প্রায় ২০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
গতকাল (২৫ আগস্ট) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘চলমান বন্যায় চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনা বিভাগের ৮৬টি উপজেলায় মৎস্য খাতে এক হাজার ৫৯০.৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আক্রান্ত পুকুর, জলাধার ও খামারের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৯৯ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ও চিংড়ির পরিমাণ ৯০ হাজার ৭৬৮ মেট্রিক টন। এছাড়াও, ৩৭৪৬ মিলিয়ন মাছের পোনা ও পোস্ট লার্ভা চিংড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশের ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলায় গবাদিপশু খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে গরুর খামার, পোল্ট্রি ফিড এবং অন্যান্য পশুখাদ্য ধ্বংস হয়েছে।’
এছাড়া গবাদিপশু খাতে ৪১১ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির তথ্য পাওয়া গেছে এবং হঠাৎ বন্যায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে অনেক গবাদিপশু ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
তিনি গবাদিপশু খাতে ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য তিনটি পদক্ষেপ ঘোষণা করেন। পদক্ষেপগুলো হলো, ‘জরুরি পশুখাদ্য সরবরাহ ও বিতরণ করা, গবাদিপশু ও পোল্ট্রির রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রদান করা এবং ঘাস বিতরণ করা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, মাছের খামার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সহায়তা, বন্যাকবলিত এলাকায় মাছের পোনা বিতরণের জন্য তহবিল, উন্নত বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং বন্যার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় মৎস্য চাষিদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’