নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে রেফার কনটেইনার (ফ্রিজ সুবিধাসম্পন্ন কনটেইনার) রাখার একটি পয়েন্টও নেই। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য এক হাজার নতুন পয়েন্ট (বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার পয়েন্ট) বাড়িয়ে ২৬০০ পয়েন্ট করা হলেও তা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখন আর কোনা রেফার কনটেইনার রাখার জায়গা নেই বন্দরের ইয়ার্ডে। তাই বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে থাকা রেফার কনটেইনার ডেলিভারি নেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ মে’র মধ্যে এসব কনটেইনার ডেলিভারি না নিলে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট (মাশুল) আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে চারগুণ হারে স্টোররেন্ট আদায় করা হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) স্বাক্ষরিত একটি আদেশও মঙ্গলবার জারি করা হয়েছে। এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬০০ রেফার কনটেইনার রাখার ধারনক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সমস্যার কারণে গত ২৬ মার্চের পর থেকে অনেক আমদানিকারক কনটেইনার ডেলিভারি নেয়নি। এতে বন্দরে রেফার কনটেইনারের স্তূপ বাড়তে থাকায় নতুন করে আরো এক হাজার কনটেইনারের পয়েন্ট তৈরি (বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য) করা হয়। কিন্তু এখন তাও পূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নিতে হবে আমদানিকারকদের।
জানা যায়, এসব রেফার কনটেইনার দিয়ে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফল, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এসে থাকে। মূলত পচনশীল পণ্য এসব রেফার কনটেইনারে আনা হয়। অনেক আমদানিকারক ২০ ও ৪০ ফুটের এসব কনটেইনারগুলো ফ্রিজ হিসেবে বন্দরের ইয়ার্ডকে ব্যবহার করে এবং বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি করে। তবে ইয়ার্ডে নামার চারদিন পর থেকে প্রতি দিনে ২০ ফুট কনটেইনারের জন্য ৬ মার্কিন ডলার এবং ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারের জন্য ১২ মার্কিন ডলার করে স্টোররেন্ট পরিশোধ করা হয়। আর এসবের সাথে যুক্ত হয় বিদ্যুৎ বিলের টাকা।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ কনটেইনারও বেড়ে গিয়েছিল বন্দরের ইয়ার্ডে। কিন্তু সব ধরনের পণ্য অফডকে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়ার পর কনটেইনারের জট কিছুটা কমেছে।
টপ নিউজ