সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এলসিএল কার্গো দ্রুত ডেলিভারি না নিলে চারগুণ স্টোররেন্ট আরোপ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এই সিন্ধান্ত।
একই কন্টেইনারে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য থাকলে সেগুলো ইয়ার্ডে খুলে পণ্য বন্দরের ওয়্যারহাউজে রাখা হয়। সেখান থেকে পণ্য ডেলিভারি নেয় আমদানিকারকরা। এই পণ্যই এলসিএল কারগো বলা হয়। যেসব কন্টেইনারে একজন আমদানিকারকের পণ্য থাকে সেগুলো এফসিএল কন্টেনইার বলে। এগুলো সরাসরি বন্দর ইয়ার্ড থেকে ডেলিভারি দেওয়া হয়।
কন্টেইনার থেকে পণ্য বের করে ওয়্যার হাউজে রাখার পর ৪ দিন ফ্রি টাইম ধরা হয়। ফ্রি টাইম পার হওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন টন প্রতি ১৬ দশমিক ৭২ টাকা স্টোর রেন্ট দিতে হয়। ৮ম দিন থেকে ১৪ তম দিন পর্যন্ত টন প্রতি ৪১ দশমিক ৮০ টাকা, এবং পরবর্তী দিনগুলোতে প্রতিদিন ৬৬ দশমিক ৮৮ টাকা স্টোর রেন্ট দিতে হয়।
এই সিদ্ধান্ত ১১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হলে এই রেন্ট এর চারগুণ পরিশোধ করতে হবে আমদানিকারকদের।
চট্টগ্রাম বন্দর ২৭ মার্চ এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলে, এলসিএল কন্টেইনার আনস্টাফিং এর পরে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও বিভিন্ন আমদানিকারক মালামাল খালাস নেয়নি। এ কারনে শেডগুলোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এতে এলসিএল কন্টেইনার আনস্টাফিংয়ে বিলম্ব হচ্ছে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে এ ধরনের এলসিএল কার্গো ডেলিভারির পরিমান বৃদ্ধি না পেলে আগামী ১১ এপ্রিল হতে আমদানীকৃত এলসিএল কার্গোর ক্ষেত্রে চার দিন ফ্রি টাইম এর পর স্টোররেন্ট চারগুন আরোপ করতে বাধ্য হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক বলেন, এলসিএল কার্গো ডেলিভারি স্বাভাবিক না হলে ১১ এপ্রিল থেকে চারগুন স্টোররেন্ট কার্যকর হবে। তবে ডেলিভারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে এলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৫ মার্চ থেকে এফসিএল কন্টেইনার ডেলিভারির ক্ষেত্রে বন্দরে কন্টেইনার রাখার ২০ দিন পর থেকে চারগুন স্টোররেন্ট আরোপ করেছিলো বন্দর। কিন্তু এফসিএল কন্টেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক হওয়ায় পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : টিবিএস