অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মঈনুল ইসলাম
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রাইভেটাইজড হলে নিঃসন্দেহে বন্দরের দক্ষতা বাড়বে, এটি স্পষ্ট। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু সেন্সেটিভ (স্পর্শকাতর) একটি জায়গায় বাইরের প্রতিষ্ঠান কাজ করবে, সেহেতু শুধু দক্ষতার বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। দক্ষতা বাড়লেও নিরাপত্তা ঠিক রাখতে হবে।
আমরা দেখেছি, পৃথিবীর প্রায় দেশ প্রাইভেটাইজড (বেসরকারিকরণ) পদ্ধতিতে বন্দর পরিচালনা করে। এতে তারা বেশ দক্ষও হয়েছে। আমাদের এখানে প্রাইভেটাইজড হলে আমরা আরও দক্ষ হবো। এটাও ঠিক যে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় যেসব নেতিবাচক দিক আছে তা দূর হবে। এ বিষয়গুলো একদম স্পষ্ট। তবে বন্দর অপারেশনের যে মুনাফা পায় তা কমে আসার আশঙ্কা থাকছে।
সর্বোপরি, চট্টগ্রাম বন্দর পুরোপুরি বেসরকারি খাতে ছেড়ে না দিয়ে একটি যৌক্তিক কাঠামো ঠিক করতে হবে। এতে নিরাপত্তার বিষয়টি বন্দরের নিয়ন্ত্রণে তো অবশ্যই থাকবে। এরপরও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তিতে এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। নতুবা এটির কারণে আমাদের সার্বভৌমত্বে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।