কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের কমিটি #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংসযোগ্য মালামালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্রডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকাল ৪টার সময় লাগা আগুন রাত ৯টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। গুদামে কাপড় ও রাসায়নিক উপাদানের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে।
চট্টগ্রাম বন্দরের দুই নম্বর গেটের তিন নম্বর শেডে এই আগুন লাগে। এঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলমকে প্রধান করে একটি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের ২ নম্বর গেটের তিন নম্বর যে শেডটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি পরিত্যক্ত শেড। ধ্বংসযোগ্য মালামাল ছিল এই শেডটিতে। তবে কী কারণে এখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো তা খুঁজে বের করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এই শেডে কী ছিল জনতে চাইলে বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই শেডটি পরিত্যক্ত ছিল। এখানে কিছু ক্যামিকেল ভর্তি ড্রাম, কাপড়ের রোলসহ বিভিন্ন নথিপত্র ছিল। এসব মালামাল অনেক আগেই ধ্বংস করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে শেডের মধ্যে রেখে দেয়া হয়।
এদিকে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও নৌ বাহিনীর একটি ফায়ার ট্রাক আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, তিনটি ইউনিটের ১২টি গাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। তবে এখানে কিছু ক্যামিকেল থাকায় ওখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে, সেকারণে আগুন নেভাতে সময় অনেক বেশি লেগেছে।
আগুন লাগার সাথে সাথে কু-লী অনেক উপরে উঠে যায় এবং আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) এবং তদন্ত কমিটির আহবায়ক জাফর আলমের সাথে। তিনি বলেন, ‘কী কারণে আগুন লাগলো তা খুঁজে বের করা হবে। তবে আগুন নেভাতে বিলম্ব হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণে ক্যামিকেল। অনেক পুরনো ডাম্পিং অবস্থায় থাকা কী কী ক্যামিকেল রয়েছে তা আমরা জানি না। তাই খুব সতর্ক অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, আলামতের জন্য এভাবে পুরনো জিনিসপত্র রাখা বন্দরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে, কোনো রানিং মালামাল ( বর্তমান সময়ে আনা নেয়ার পণ্য) ছিল না এই শেডে।
বন্দরের নিরাপত্তার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বন্দরের ভেতরে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। একইসাথে রাসায়নিক উপাদানগুলো বছরের পর বছর রেখে দেয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। তদন্ত করতে গিয়ে এসব বিষয়ও বিবেচনায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯২ শতাংশ পণ্য আদান প্রদান হয়। আগুন লাগার ঘটনা বহির্বিশ্বে বন্দরের সুনামে নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে।