১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবাখাতে নতুন আরোপিত মাশুল কার্যকর করা হয়। এতে করে বিভিন্ন খাতে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বন্দরে অভ্যন্তরে গাড়ি প্রবেশ ফিও বেড়েছে। বিভিন্ন পরিবহন মালিক সংস্থার সদস্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক, কর্ভাডভ্যান, ট্রেইলসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন বন্দরে প্রবেশ ফি পূর্বের ৫৭ টাকার জায়গায় প্রায় চারগুণ বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রেইলার মালিকরা কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ রাখে। এছাড়া আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি শনিবার সকাল থেকে সব ধরনের যানবাহন বন্দরে প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন পরিবহন মালিক সংস্থার সদস্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক, কর্ভাডভ্যান, ট্রেইলসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন বন্দরে প্রবেশ ফি পূর্বের ৫৭ টাকার জায়গায় প্রায় চারগুণ বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করো হয়েছে।
বাংলাদেশ কর্ভাড ভ্যান ট্রাক প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, “গত ১৩ অক্টোবর বন্দর কর্তৃপক্ষ এক আদেশে অযৌক্তিকভাবে প্রবেশ ফি অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়েছে। কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই তারা এই ফি চাপিয়ে দিয়েছে।
“বন্দরের ৮৫ শতাংশ পণ্য আমাদের সমিতি অধিভুক্ত যানবাহনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ফি বাড়ানো ঠিক হয়নি। এর প্রতিবাদে ট্রাক, কর্ভাড ভ্যান, ট্রেইলারসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করেছি।”
চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পর সেখান থেকে কন্টেইনার খালাসের পর সেগুলো লরি বা ট্রেইলারে করে বিভিন্ন ডিপো অথবা ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া খোলা পণ্য নামানোর পর সেসব বিভিন্ন ট্রাক বা কর্ভাড ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়ে থাকে।
যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হবার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হবে এবং বন্দরে কন্টেইনার জট তৈরি হতে পারে।
দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরে অবদান অপরিসীম। এ বন্দর দিয়ে দেশের ৮৫ শতাংশ আমদানি-রপ্তানী হয়ে থাকে। ফলে বন্দরের কার্যক্রম একদিন বন্ধ থাকলে তা দেশের অর্থনীতির জন্য অভিঘাত।
দ্বিতীয়ত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই টালমাটাল। এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন কোনো সংকট তৈরি হোক তা সচেতন কোনো ব্যক্তি প্রত্যাশা করতে পারেন না। এ কারণে আমরা চাই বন্দরের অচলাবস্থা কাটাতে সব পক্ষ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক। বন্দর ব্যবহারকারীদের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পাশ কাটিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নিলে তা সমীচীন হবে বলে মনে করি না। এক লাফে চারগুণ মাসুল বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়।