চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অপরিসীম। গাছপালা ও বনভূমি যেভাবে আমাদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে ঠিক তেমনিভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করে। গতকাল বিকেলে কাট্টলী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রশাসক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীকে বিশেষ অর্থবহ করে তুলতে সকলকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করাই এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের আয়তনের এক-চতুর্থাংশ বনাঞ্চল থাকা জরুরি। আমাদের রয়েছে মাত্র ১২-১৫ শতাংশ বনভূমি।
বর্তমান বাস্তবতায় এর পরিমাণও কমছে। এ কারণে নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের নিত্যসঙ্গী। এখনই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভাবা দরকার। তা না হলে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যেতে পারে, যা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য বিশাল হুমকিস্বরূপ।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, এদেশের ভারি জনসংখ্যার তুলনায় বনভূমি খুবই কম।
তাই দিন দিন কমে যাচ্ছে বনভূমির আয়তন। নগরায়ন ও শহরায়নের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলেও ধ্বংস হচ্ছে বনভূমি। বিলুপ্ত হচ্ছে জীবজন্তু ও বন্যপ্রাণী। এতে হুমকির মুখে পড়ছে মানুষ।
এ সময় চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ.কে.এম রেজাউল করিম, স্কুল ও কলেজ দাতা সদস্য সুলতানুল আবেদীন চৌধুরী, নওশাদ চৌধুরী বাবলা, আলী ইস্কান্দর, তিলোত্তমার স্বত্বাধিকারী সাহেলা আবেদীন, উপদেষ্টা আবু সাঈদ সেলিম, মো. হারুন বোরহান, শুভা নাজ জিনিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কৃষি অধিদপ্তরের সুবাস দত্ত, লায়ন হুমায়ুন কবির, কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশিষ বরণ সরকার, প্রভাষক শিপল দত্ত, শিক্ষক ওসমানগণি, বিশ্বজিত পারিয়াল, মিসেস নীলিমা দেব রায় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর