জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সনদপ্রাপ্ত নবীন নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, মেয়েরা আজ কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই। মনে সাহস রাখ, প্রশ্ন করে নিজের প্রতিভা বিকশিত করো এবং সামনে এগিয়ে যাও। সমাজ থেকে লিঙ্গ বৈষম্য দূর ও সর্বত্র সমতা প্রতিষ্ঠায় নিজেদেরকেও সামিল করতে হবে। বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি গতকাল এম এম আলী রোডের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন চট্টগ্রামের ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, পৃথিবীকে পরিবর্তনের শক্তিশালী হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমে আমরা উন্নতি ও অগ্রগতির সুউচ্চ সোপানে পৌঁছতে পারি। নিজদের সমস্যা সমাধান করতে পারি। কাজেই মেয়েরা ঘরে বসে থাকতে পারে না। আধুনিক বিশ্বের নতুন নতুন জ্ঞান তাদের অর্জন করতে হবে। প্রতিযোগিতায় নিজেকে সামিল করে, নিজের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করে অবস্থান তৈরি করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে। শিক্ষাক্ষেত্র বিশেষ করে নারী শিক্ষায় সরকার অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে নারী শিক্ষার হার অনেক বেশি। এ হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এক্ষেত্রে তিনি বিনামূলে বই বিতরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান, মেয়েদের মোবাইল ট্যাব বিতরণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশে^ রোল মডেল। কাজেই মেয়েদেরকে রোল মডেলের এ প্রাপ্তি ধরে রাখতে খাটতে হবে। এ সামার ক্যাম্প থেকে অর্জিত শিক্ষা নিজ নিজ সেক্টরে কাজে লাগিয়ে সমাজ পরিবর্তনে নিজের অংশ গ্রহণ জোরদার করতে হবে। সামার সেশনে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কম্পিউটার কোডিং এবং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে মেয়েদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে তিনি অভিভূত হন এবং এরকম কোর্স পরিচালনার জন্য স্পন্সর প্রতিষ্ঠান শেভরণ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, শেভরন বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, মানাল মোহাম্মদ, ডিন অব ফ্যাকাল্টি ও একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স ড. বীণা খুরানা, সুসানা উইলিয়ামস, কোর্স সমাপনকারী শিক্ষার্থী নিতু আক্তার বক্তৃতা করেন। পরে স্পিকার কোর্স সম্পন্নকারী ৫২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি