ছোটখাট নয়, বরং বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রস্তুত ও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে বড় শক্তি কাজ করবে এবং এই নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। ছোটখাট নয়, বরং বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে এবং ‘হঠাৎ করে আক্রমণ’ চলে আসতে পারে। তবে, যত ঝড়ঝাপ্টা আসুক না কেন, তা অতিক্রম করে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো একটা নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, যারা পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসর, তারা দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক তা চাইবে না। কারণ বিগত সময়ে স্থানীয় থেকে জাতীয় কোনো নির্বাচনই ফেয়ার হয়নি। তারা দেশে একটি আনস্ট্যাবিলিটি (অস্থিরতা) তৈরি করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা সে বিষয়ে সবাইকে অ্যালার্ট (সতর্ক) থাকতে বলেছেন এবং তিনি স্পষ্টত দেখছেন, অনেকে নির্বাচন বানচালের জন্য দেশে বসে ‘অনেক ধরনের কন্সপিরেসি’ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সংখ্যক টিভিসি, ডকুমেন্টারি বা ভিডিও তৈরি করা এবং তা যেন খুব দ্রুত ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন। সবাই যেন এটা দেখে নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে সুন্দর, উৎসবমুখর ও চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা।


















































