সুপ্রভাত ডেস্ক »
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর হলেও গণমাধ্যমের সংস্কার ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় বারবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ফাউল আচরণ করছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে। সাংবাদিক সমাজ তা সহ্য করবে না। গত সতেরো বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাংবাদিকরা সাহসী সাংবাদিকতা করছে। কিন্তু তাদের বঞ্চিত করে কথিত সাংবাদিকদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। এটি সাংবাদিকরা মেনে নেবে না। আমরা যে ঐক্যবদ্ধভাবে হাসিনাকে হটিয়েছি তেমনি আমাদের এখনও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেসব মিডিয়াতে স্বৈরাচার দোসররা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য গঠিত হয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অন্যায্য কাজকে আমরা মেনে নেবো না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা কাদের প্রমোট করছে জাতি জানে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন কারও ঠাঁই হবে না
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, আজ আনন্দ ও বেদনার দিন। ফ্যাসিবাদের পতনে আমাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। গণতন্ত্র সুরক্ষা ও ফ্যাসিবাদের বিচার করতে হবে। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না এটাই ঠিক। আমি জানি না রাজনৈতিক দলগুলো কেন নীরব। ভারতীয় চ্যানেল কেন বন্ধ হচ্ছে না? কিছু কিছু উপদেষ্টার অপরিপক্বতা ও অজ্ঞতা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এতদিন ছিলেন না। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত করতে সরকারের বোধোদয় হবে।
সাইবার সিকিউরিটির সমালোচনা করে বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরি বলেন, কালো আইন সাইবার সিকিউরিটি আজও বাতিল করা হয়নি, এটা দুঃখজনক, হাসিনার সময়ে গুম খুন হয়েছে, এখন মব চলছে। ১৭ বছর ধরে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আমরা চাই নির্বাচিত সরকার। কিন্তু সংস্কারের মুলো ঝুলিয়ে এক বছর হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আমরা পাই নাই।
তিনি আরও বলেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট আসতে দেওয়া হবে না। আর কোনো সাংবাদিকের প্রাণ হারাতে দেবো না। আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করা হলে সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। খুনি হাসিনা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা ১৭ বছর রাজপথে ছিলাম। আমাদের আর রাস্তায় নামাবেন না। তাহলে হাসিনার পরিণতি হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম,বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংবাদিক নেতা আরফানুল আইন, মুরসালীন নোমানী, আবু সাহেহ আকন, নিজাম উদ্দিন উদ্দিন দরবেশ, আব্দুল্লাহ মজুমদার, খন্দকার আলমগীর হোসেন, কবি রফিক মাহমুদ প্রমুখ।