উপকূলীয় এলাকায় ২ নম্বর সতর্ক সংকেত
নিজস্ব প্রতিবেদক »
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সকল ধারাবাহিকতা সম্পন্ন করে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হলো ‘অশনি’। দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঝড়টি ঘনীভূত হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পাঁচ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলেছে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ১১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ১১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া মাছ ধরার সকল নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
ঝড়টি গত শনিবারে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর গতকাল সকালে গভীর নিম্নচাপ ও দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেয়। এখন উপকূলের কাছাকাছি এলে বলা যাবে তা কোনদিকে আঘাত হানবে। তবে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নিম্নচাপটি কাল মঙ্গলবার ভারতের বিশাখাপত্তম ও ভুবনেশ্বরের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
উল্লেখ্য, বছরের এ সময়ে বঙ্গোপসাগরে এধরনের ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়ে থাকে।