সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিদায় নিচ্ছে শরৎ ঋতু। ধীরে ধীরে আসবে শীত। গত কয়েক দিন ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ট ছিল জনজীবন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রমতে, নিম্নচাপের পরে গত কয়েক দিন সারাদেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। গরমে অতিষ্ট ছিল জনজীবন। বর্ষার শেষ সময়ের এই প্রচণ্ড গরম ছিল অনেকটা অস্বাভাবিক। আর সপ্তাহ দুয়েক পরে সারাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে। এরপর মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে আকাশে মেঘ বেড়ে যাবে। তাপমাত্রাও কমে আসবে।
পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই দেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টি আগামীকাল আরও বিস্তৃত হবে। আস্তে আস্তে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এটি সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। এরপর শীতের প্রভাব পড়তে শুরু হবে।
পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।
এর আগে স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপটির ধীরগতির কারণে উপকূলে বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল বেশ কয়েকদিন। এর মধ্যে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর আবহাওয়া অধিদপ্তর শিগগিরই আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছিল। সংস্থাটি জানিয়েছিল, ২১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টি বাড়িয়ে দিতে পারে।